ধানের ব্লাস্ট রোগ ও তার প্রতিকার।ধানের ব্লাষ্ট রোগ হলে কি করণীয় এমিস্টার টপ

ধানের ব্লাস্ট রোগ ও তার প্রতিকার।ধানের ব্লাষ্ট রোগ হলে কি করণীয়। এবং ব্লাষ্ট রোগ হলে কি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে বা কিভাবে ভালো হয়।

প্রিয় ভিজিটার বিন্দু আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো ধানের ব্লাস্ট রোগ ও তার প্রতিকার ধানের ব্লাস্ট রোগ হলে কি করনীয়। এবং কি করার মাধ্যমে আমরা ধানের ব্লাস্টের প্রতিকার করতে পারব। এবং কি কীটনাশকের করতে হলে ধানের ব্লাস্ট রোগ ভালো হয়। সবাইকে সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু আশা করি আল্লাহ তা’আলা অশেষ রহমতে ও কুদরতে আপনার সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। বরাবরের মতোই আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে তাই আপনারা আমাদেরকে উৎসাহ এবং ভালোবাসা দিয়ে আমাদের প্রতিবেদনে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আশা করি আপনারা এই প্রতিবেদনটি দাঁড়ায়। কৃষি কাজে অনেক উন্নতি করবেন এবং কৃষিকাজের আমল পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন তাই আপনারা যারা এখনো ব্লাস্ট রোগ নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে স্টেশন কিন্তু কোথাও সুবিধামতো এবং আপনার মনের মতো কোনো আর্টিকেল খুঁজে পাচ্ছেন না তাই আশা করি আপনারা যোগ্য জায়গায় এসেছেন। আশা করি আমাদের এই ছোট প্রতিবেদনটি দ্বারা আপনি জানতে পারবেন ধানের ব্লাস্ট রোগ কেন হয় ধানের ব্লাস্ট রোগ হলে আমাদের করণীয় এবং ধরনের ব্লাষ্ট যদি হয় সেটা থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের কি কি করনীয় এবং কী কীটনাশকের মাধ্যমে আমরা ধানে ব্লাষ্ট রোগ রোধে কি করতে পারি।

প্রতিটা মানুষ হলো কৃষি নির্বাচনে এরপর এই অর্থনৈতিক দেশে আমাদের জানতে হবে স্বনির্ভর কৃষি উৎপাদনের জন্য আমাদের কি কি করতে হবে তাই। প্রতিটা মানুষ কিসের উপর ডিগ্রী নেয়া এবং কৃষির উপরেও ট্রেনিং নেয়া উচিত এবং কি সম্বন্ধে যথেষ্ট ধরনের জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। বর্তমান পৃথিবী হল কৃষি নির্ভর পৃথিবী কৃষিকে  বাদ দিয়ে কখনো পৃথিবীর উন্নয়ন কামনা করা যায় না আমরা যদি আফ্রিকা মহাদেশের ওই দিকে তাকায় তাহলে আমরা দেখতে পাব ক্ষুধা দারিদ্রতা তাদের কি রকম অবস্থা করেছে এবং কোথা দায়িত্ব তার কারণে তাদের জানমাল কতটা বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। আমাদেরকে জানতে হবে এবং আমরা স্বনির্ভর কৃষি উৎপাদনের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের সরকারের মন্ত্রণালয়ে কিসের উপর ব্যাপক একটি প্রাধান্য দিয়েছে এবং কিছুকে যাতে আধুনিকতার সৈয়দ খাপ খাইয়ে আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা খৃষ্টির মান এবং কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করাতে পারে সেই চেষ্টা তারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে এবং অব্যাহত আছে। তাই আমাদের প্রতিটা মানুষ এবং জনগণের উচিত সচেতন হয়ে কি কি কাজ করা এবং কৃষিকাজে প্রদত্ত পরিমাণে স্বাধীন কে তার ছোয়া লাগিয়ে কৃষিকাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।

এমিস্টার টপ

 

আজকে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব বাংলাদেশের অত্যন্ত স্বনামধন্য একটি কোম্পানি প্রোডাক্ট সম্পর্কে যে কোম্পানি প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার কাঙ্খিত  ফসলের যেকোনো ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে পারেন তাই আপনাদেরকে আমরা জানিয়ে দেবো বাংলাদেশের তিনজনটা কোম্পানির একটি অসাধারণ প্রোডাক্ট ইনস্টার টপ সম্পর্কে আমরা জানি এই মিস্টারটা হচ্ছে একটি ব্লাস্ট নাশক কীটনাশক যার মাধ্যমে আমরা ধানের এবং ফসলের উন্নয়ন সাধিত করতে পারি এবং কাঙ্খিত। এই প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ভূমিকা রাখতে পারি। তাই আপনাদেরকে আমি আজকে জানিয়ে দিব এ মিস্টার টপ ৩২৫ এসসি এজোক্সিস্ট্রোবিন ডাইফেনোকোনাজল সম্পর্কে তাই আমাদের প্রতিবেদনটি পড়তে আপনার শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন –

ব্যবহারবিধ

 

যে কোন কীটনাশক ব্যবহার করা পূর্বে অবশ্যই তার ব্যবহার বিধি সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা আপনাদের রাখতে হবে তা হলো না হলে আপনি আপনার ফসলে চরম ক্ষতি সাধন করে ফেলবেন তাই এই ক্ষেত্রে আমাদেরকে সচেতনতার ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ফসলের ব্যবহার বিধি সম্পর্কে কীটনাশকের করনীয় কি –

আপনারা জানেন প্রতি লিটারের ২০০ গ্রাম এ এজোক্সিস্ট্রবিন ও ১২৫ গ্রাম ডাইফেনোকোনাজল উপাদান রয়েছে। একটা জিনিস অবশ্যই আপনাদেরকে মাথায় রাখতে হবে এই গিটার শোক ব্যবহার পূর্বে অবশ্যই তার গায়ে লেখা নির্দেশনা বলি সম্পর্কে ভালোভাবে পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে। আপনার হয়তো অনেকে জানেন না এই মিস্টার টবে স্থানীয়ভাবে অনুপ্রবেশকারী গুণসম্পন্ন স্পর্শ প্রমাণ ছত্রাক যার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফসলের যে কোন রোগ অর্থাৎ ব্লাস্ট রোগ এ্যানথ্রোক্স ইত্যাদি রোগ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই এমিস্টার টপ নাটক কীটনাশকটি।

অনুমোদিত ফসল মাত্রা প্রয়োগ

 

আজকে আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানিয়ে দিব আপনাদের কি কি ফসল অনুমোদিত রয়েছে এবং সেইসব ফসলে কতটুকু এই কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে তাই আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি পড়তেই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন যাতে করে আপনারা আপনাদের ফসলের সঠিক প্রজনন এবং বিস্তার করাতে পারেন এবং অনিমোদিত ফসলের সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে পারেন –

যেসব ফসলে এ মিস্টার টপ আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সেসব ফসলের একটি লিস্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো –

সল –                                                  রোগ                                                                                                                                           

ধান                                                     সীথ ব্লাস্ট                                                                                                                                                                                                                 

আলু                                                লেট ব্লাইড ও স্টেম কাঙ্কার

আম                                                  এনথ্রোকনোজ

চা                                                       ব্রান্স কেঙ্কার

পান                                                       ফুট রট

পিয়াজ                                             পারপল ব্লচ

মরিচ                                                পাউডার মিলিডিউ

টমেটো                                            পাউডারী মিলিডিউ

মটরশুটি                                         অর্লিলেট ফ্লাইট

তরমুজ                                            অর্লি ও লেট ব্লাইট

200ml এমিস্টার  টপ ৩২৫ এসপি ২০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১ একর জমিতে স্প্রে করুন। পুরনো কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে দ্রবন তৈরি করে সমস্ত গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করুন। আলুর ক্ষেত্রে নালাতে প্রয়োগ করুন। আমের ক্ষেত্রে গাছের কেনপি ভিজিয়ে স্প্ করুন।

শেষ প্রয়োগ ও ফসল তোলার মধ্যে ব্যবধান

 

আজকে আমরা আপনাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো শেষ ও ফসল তোলার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু হবে -স্পিড ব্লাইট ও ব্লাস্ট রোগের জন্য ১৪ দিন। লেদ লাইট ও স্টেম কেঙ্কার এর জন্য ১৪ দিন। অ্যানথ্রাকনোজ এর জন্য ১৪ দিন। ব্রাঞ্চ ক্যাঙ্কার এর জন্য ১৪ দিন। ফুট রট এর জন্য সাত দিন পরপ্পল ব্লুজ এর জন্য ১৪ দিন। এ্যানথ্রোকনোজ এর জন্য সাত দিন। অলি ও লেড ব্লাড এর জন্য সাত দিন। পাউডারী মিলিডিও এর জন্য সাত দিন এবং পাউডারী মিলিয়েডিও এর জন্য ১৪ দিন এর মধ্যে ব্যবধান রাখতে হবে।

সাবধানতা

 

আপনাদের মনে রাখতে হবে যে কোন কীটনাশক ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই আপনাকে সাবধানতা রক্ষা করতে হবে নইলে আপনি যেকোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তাই সাবধানতা সম্পর্কে যেই সমস্ত আমরা আপনাদেরকে দিব সেই সব মনে রাখুন

যে মেশিন দিয়ে আপনি স্প্রে করবেন সে মেশিন যেন ত্রুটিপূর্ণ না হয়।

দ্রবন তৈরি ও স্প্রে করার সময় গন্ধ নিয়া গায়ে মাখা মুখে দেয়া পানাহার করা এবং ধূমপান থেকে সম্পন্ন পরিমাণে নিষেধ থাকতে হবে।

মনে রাখতে হবে খালি পেটে খালি গায়ে এবং জোরে বাতাস হওয়ার সময় অবশ্যই বাতাসের বিপরীত এবং প্রখর রোদে স্প্রে করা যাবে না।

যে কোনো খালি বোতল অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

তিনবার ধুয়ে ভেঙ্গে যে কোন ও কৃষি জমিতে পুঁতে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

 

যদি আপনি রোগে আক্রান্ত হয়ে যান এবং যদি ভুলক্রমে কেউ এই কীটনাশক খেয়ে ফেলে তাহলে তার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে যেসব জিনিসপত্রের দরকার তা আমরা নিম্ন দিয়ে দিতেছি –

যদি আপনার অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায় তাহলে সাথে সাথে আপনার বলাই নাশক স্প্রে করা বন্ধ করে দিতে হবে।

যদি ভুলবশত গায়ে লিখে যায় তাহলে কাপড় খুলে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং সেই কাপড় পড়া যাবে না।

এবং যদি চোখে আপনাদের এই কেন আসুক পড়ে যায় তাহলে বেশি পরিমাণে পানি দিয়ে চোখ ধৌত করতে হবে।

শ্বাসের সাথে যদি আপনার স্প্রে গলায় ঢুকে যায় তাহলে আপনাকে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে।

ভুলবশত এই কীটনা শব্দটি কেউ খেয়ে ফেলে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কি নাশকের বোতলটিসহ তার মোরগটি নিয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

ভুলবশত কোন সচেতন ব্যক্তিকে বমি করানোর চেষ্টা করা যাবে না।

প্রতিষেধক

 

যদি কোন রোগে আক্রান্ত হন তাহলে সেই সব রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনাদের কিছু প্রতিষেধক রয়েছে সেই প্রতিশোধ যদি আপনি ঘনঘন তাহলে সুস্থ হয়ে যাবেন এক্ষেত্রে কিন্তু এই কীটনাশকের কোন প্রতিষেধক নেই আপনাকে মনে রাখতে হবে এবং এ লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার উন্নয়নের জন্য চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

প্রস্তুতকারক কোম্পানি এবং রেজিস্টার নং

 

আজকে আমরা আমাদেরই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদেরকে প্রস্তুতকার কোম্পানি সম্পর্কে এবং এর রেজিস্ট্রেশন নং সম্পর্কে জানিয়ে দিব। এপি ২৩১২ এবং প্রচুর কারক কোম্পানি হল সিনজেনটা এশিয়া প্যাসিফিক পিটিই  লিমিটেড সিঙ্গাপুর । জেজি হোল্ডার আমদানি ও বাজারকারী প্রতিষ্ঠান হল সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড। গ্রীন রচনা আরা টাওয়ার ৫৫ সাত মসজিদ রোড ধানমন্ডি ঢাকা ১২০৫। উৎপাদনের তারিখ হল সেপ্টেম্বর ২০২২ এবং উৎপাদনের শেষ তারিখ হল আগস্ট ২০২৪ এমআরপি গাঁয়ে মূল্য হল ২২০ কোম্পানি চাইলে এই মূল্য কর্তন এবং বাড়াতে পারে। এই বোতলটি হলো পঞ্চাশ এম এল।

পরিশেষে, আমাদের প্রতিবেদনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সর্বদা পাশে থাকুন আমাদের ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *