প্রবন্ধটি শুরু করার আগে শ্রেণীভেদে সবাইকে আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম এবং অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আশা করি মহান স্রষ্টার অশেষ রহমতে যান্ত্রিকতার এই জীবনে আপনার সকলেই ভাল আছেন। আর আপনারা সকলেই ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন সেই কামনা আমি আলামিন এর কাছে করে থাকি। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া ও সুস্থতা কামনা করবেন যাতে করে আমি সুস্থ সাবলীল জীবন যাপন করতে পারি এবং মহান রব্বুল আলামীনের দেখানো পথে নিজের জীবনকে নিবেদিত করতে পারি। সর্বোপরি আপনাদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব অভিনয় করব পাশে থেকে ধৈর্য ধরে আমাদের আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাই আর দেরি না করে আমাদের সাথেই থাকুন –
আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আপনাদের অভিহিত করব যদিও আপনারা এ সম্পর্কিত আর্টিকেল অল্প মানুষ এই পড়ে থাকবেন। পৃথিবীর ইতিহাস ও সভ্যতার অন্যান্য দাবিদার মিশরীয়রা তারা পৃথিবীর সৃষ্টির আদি উষা লগ্ন থেকে সভ্যতার আর প্রান্তে অবস্থান করেছে। তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে গেলে অবশ্যই আমাদের ইতিহাস পড়তে হবে। আজকে আমরা সেই মিশরীয় দেশ সম্পর্কে আলোচনা করব যারা ৩৬৫ দিন এর ক্যালেন্ডার রচিত করেছিল পৃথিবীর বুকে। সম্ভবত তারাই প্রথম জাতি যারা ৩৬৫ দিন কে ভাগ করে ক্যালেন্ডার এর রূপান্তরিত করেছে। যে দেশে নারী-পুরষ উভয় ছিল সৌন্দর্যের আঁতুরঘর আপনারা আরো জেনে অবাক হবেন যে মিশরীয়রা সর্বপ্রথম রূপচর্চার ব্যবহার শুরু করেছিল যার থেকে ধীরে ধীরে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। যে দেশটি পিরামিডের শহর হিসেবে খ্যাত এবং পৃথিবী বিখ্যাত সপ্তম আশ্চর্যের অন্যান্য একটি আশ্চর্য হলো মিশরের পিরামিড আরো অন্যান্য সকল জাতি গোষ্ঠীর থেকে আলাদা এই কারণে যে মমি সর্বপ্রথম ব্যবহার তারাই করেছিল এবং তাদের হাত ধরে পরবর্তীতে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী ও সভ্যতার মধ্যে মোমির প্রচলন পৌঁছে যায়। মিশরীয়দের রাজা বাদশা গন মরে গেলে তারা মমি করে রাখতেন। এটা এমনই একটি আশ্চর্যের দেশ যারা মনে করতেন মানুষ মরে গেলে তাদের লাশ মনে করে রাখলে বা সংরক্ষণ করে রাখলে তাদের আত্মা ফিরে আসে। আজকে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা অনুযায়ী আপনাদের মিশরীয় দেশ সম্পর্কে অভিহিত করাবো। আমরা অবশ্যই পৃথিবীর সভ্যতা সম্পর্কে জানতোই আগ্রহী এবং পৃথিবীর সর্ব প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মিশরীয় সভ্যতা যার অর্ধ প্রান্তে রয়েছে নানান ঘটনা ও ইতিহাস। যদি আমরা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রাচীন সভ্যতার বা নিদর্শন এর কথা তুলে ধরি তাহলে মিশরীয় সভ্যতায় আমাদের প্রথমে চলে আসে। প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে মিশরীয় সভ্যতা হলো অন্যতম একটি সভ্যতা যা ফ্যাক্ট এবাউট ইজিপ্ট।
মিশরকে ইংরেজিতে বলা হয় Egypt এর অফিসিয়াল নাম হল আরব রিপাবলিক অফ ইজিপ্ট। মিশরের আয়তন হল ১০ লক্ষ ১০ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার। তাহাদের মোট জনসংখ্যা হল ৯ কোটি ৯৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৪১ জন সামথিং। মিশরের রাজধানীর নাম হলো কায়রো যা মিশরের প্রধান বাণিজ্যিক শহর। মিশরের অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ বা ভাষায় কথা বলা হয় তাহলে আরবি ভাষা। মিশরের মোট জনসংখ্যার ৯৪. ৯% হল সুন্নি মুসলমান ৫.১% জনসংখ্যা হল ক্রিস্টান ধর্মালম্বি এবং বাকি অন্যান্য ধর্ম রয়েছে মিশর দেশে। মিশর যে টাকা বা কারেন্সিতে চলে তা হল ইজিপশন পাউন্ড রকমারি ধরনের ঐশ্বর্যের অধিকারী হল মিশর যা মিশরের পিরামিড কে কেন্দ্র করে অবস্থিত। মিশরের কয়েকটি পিরামিডের মধ্যে অন্যতম পিরামিড হলো ক্ষোপণ যা অতি প্রাচীন এবং এটি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম একটি আশ্চর্য।
আনুমানিক ২৫৫০ খ্রিস্টাব্দে মিশরের ফারাও রাজা কর্তৃক নির্মিত এই পিরামিডটি। পৃথিবীর ইতিহাসে ৪৪০০ বছর ধরে এটাই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও উচ্চতম স্থান। ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার নির্মিত হলে মিশরের এই সপ্তম আশ্চর্যটির গৌরব ক্ষুন্ন হয়। লোক বলে শোনা যায় মিশরের প্রেমের একটি তৈরি করতে এক লক্ষ লোকের ২০ বছর সময় লেগে যায়। যদিও আমরা জানি পিরামিডের দেশখ্যাত মিশরকে কিন্তু আমাদের এই ধারণা অবান্তর ও ভুল প্রমাণিত করে সবচেয়ে বেশি পিরামিডের দেশ হলো সুদান যা মিশরের চেয়ে প্রায় দুই গুণ আমি রয়েছে সুদান। আর আপনারা আরও জেনে অবাক হবেন যে পৃথিবীর সর্বোচ্চ এবং বিখ্যাত পিরামিড রয়েছে মেক্সিকোতে। আপনারা জানেন পিরামিডের জন্যই মিশর বিখ্যাত নয় মিশর বিখ্যাত হল মমি গোনার দিক থেকেও আনুমানিক প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরীয়রা মনে করত মানুষ মরে যাওয়ার পর মানুষকে মমি করে রাখলে তার আত্মা অবশ্যই কোন না কোনদিন তার মাঝে ফিরে আসবে। যদিও তাদের এই ধরনের ভ্রান্ত অমূলক ছিল তাদের বিশ্বাস ছিল তারা মরে গিয়েও জীবিত রয়েছে মমিতে তাই তারা এভাবে মমি সংরক্ষণ করাতে সিদ্ধহস্ত ছিল।
প্রাচীনকালে মমি তৈরীর অবস্থা ভীষণ জটিল ও কঠিন ছিল। তাই তখন বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না তাদের পক্ষে। ঠিক সেই সময়কারের কিছু অভিজ্ঞ ও দক্ষ মানুষ ছিল এই কাজ করতে তাদের প্রধান ও প্রথম জীবিকা ছিল মমি বানানো। প্রাচীনকালে মিশরের লোকজন বিড়ালকে খুব সম্মান ও কদর করতো। বিড়ালের উপর অত্যাচার স্বরূপ যদি বিড়ালকে মেরে ফেলা হতো তাহলে আইন অনুযায়ী সে ব্যক্তি কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো। হঠাৎ মিশরের যাচার মৃত্যুর পর তার দাসীদের অজ্ঞান করে মাথায় আঘাত করে জীবিত কবর দেয়া হতো রাজার মৃত মমির সাথে তাদের নানান ধরনের তেজাসপত্র ও দৈনন্দিন জীবনের সব জিনিসপত্র গুছিয়ে দেওয়া হতো।
মিশর হলো মূলত প্রাচীন সভ্যতার আতুরঘর যার ব্যক্তি এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশ সংলগ্ন। মিশরের বর্ডার গাজা দেশ ইজরায়েল ও ফিলিস্তানের সাথে এবং ওইদিকে সুদান ও লিবিয়ার সাথে মিলিত হয়েছে। মিশর এবং চুদান বর্ডার এর মধ্যে প্রায় ২৬০০ বর্গ এলাকা অনাবাদি এবং অযথা পড়ে রয়েছে এটা হল সম্পূর্ণ বেওয়ারিশ। এর উপর কোন দেশ অধিকার দেখাতে পারেনা বা অধিকার দেখার মত দুঃসাহস করে না। আমরা জানি পৃথিবীর নানান ধর্মগ্রন্থের মধ্যে মিশরে প্রাচীন সভ্যতা ও সভ্যতার নাম গুলো এসেছে। মুসলমান ধর্মের অধিকাংশ নবী ও রাসূলগণের তীর্থপূর্ণ ভূমি হল এই মিশর এই মিশরে অনেক নবী-রাসূলগণের জন্মগ্রহণ হয়েছে। এবং মহান রাব্বুল আলামিনের সবচেয়ে বড় সত্য ফেরাউনের জন্মস্থান হল এই মিশর প্রাচীন মিশরের একটি তারা পুরুষ এবং মহিলা উভয় রূপচর্চা করে এবং বিউটিপলার করে সাজিয়ে থাকতো। সাজিয়ে থাকার একটি কারণ তারা মনে প্রানে বিশ্বাস করত তাদের দেবতারা এসব দেখে খুশি হতেন। এবং অসাধু ভুল আত্মারা তাদের থেকে অনেক দূরে থাকবেন। প্রাচীন মিশরে আর একটি অন্যতম বিষয় হলো মিশরের চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল অতুলনীয় তখনকার সময় মিশরে ছিল চিকিৎসার কেন্দ্রবিন্দু। প্রাচীন মিশরের চিকিৎসকরা ছিলেন অত্যন্ত রকমের চালাক তারা এক একটি রোগের এক একটি চিকিৎসা করাতো। অর্থাৎ আলাদা আলাদা রোগীর জন্য আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগন ছিলেন যা তাদের চিকিৎসা সেবা করতো।
আমরা যদিও এর পূর্বে অবগত আছি আফ্রিকার অধিকাংশ দেশেই মরুভূমি এর ক্ষেত্রে মিশর হলো অন্যতম এক মরুভূমি দেশ। মিশরের প্রধান উপ প্রথম নদী হল নীলনদ নীল নদের অববাহিকায় মিশরের সভ্যতা ঐতিহ্য গড়ে ওঠে এই নীল নদেই মিশরকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ মিশরীয় মানুষদের জীবন যাপনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এখনো করতেছে যার গুরুত্ব অপরিসীম ভাষায় বর্ণনা করার মত না। মিশর শব্দটি অবশ্য একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হলো সরকার আইন-কানুন বিশিষ্ট রাষ্ট্র। মিশরের অধিকাংশ ভূমি আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। উর্বরতার প্রাণ কেন্দ্র হল নীল নদ নীল নদের অববাহিকায় চাষাবাদ খুবই উর্বরতার থাকে এবং এই চাষাবাদ এর ফলন অতিমাত্রায় হয়ে থাকে যার কারণে নীলনদ হল মিশরীয়দের আল্লাহ কর্তৃক একটি বিশেষ পাওনা যার ঋণ মিশরীয়রা কখনোই শোধ করতে পারবেনা। এজন্য নীলনদকে মিশরের কৃষি তৃণভূমি অঞ্চলও বলা হয়ে থাকে।
শেষ কথা, আজকে আমরা আমাদের তুমি আপনাদের পৃথিবীর বিখ্যাত সভ্যতা মিশর সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি আমরা আমাদের প্রতিবেদনটির মাধ্যমে মিশর সম্পর্কে সমস্ত প্রকারের খাঁটিনিটি বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে পেশ করছি যা রিসার্চ করে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন। আমাদের আর্টিকেলটির যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট শেয়ার ও আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সর্বদাই পাশে থাকুন ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ।