সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই

আমরা যে মানুষ এটা চেয়ে বড় সত্য আর কোন কিছুই নেই। ব্যক্তি বিশ্বাস মানুষের চিন্তা ভাবনা এক এক রকমের হয়ে থাকে কারো সাথে কারো চিন্তা মিলে না বা অমিল হয়ে থাকে এক্ষেত্রে আমরা দ্বন্দুই না জড়িয়ে  মূল সত্যটা উপলব্ধি করে সত্যকে বেছে নেব। তাহলে আমরা মানুষ হিসেবে সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠবো।

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর কেউ নাই কথাটির মানে দ্বারা অনেক কিছুই বোঝানো হয়েছে। মানুষ হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। হাজার হাজার কোটি কোটি মাখলুকাত সৃষ্টি করার পরও আল্লাহ তায়ালা যখন মনস্থির করলেন তখনই মানুষকে তার বিশেষ মর্যাদা হিসেবে জীব হিসেবে উল্লেখিত করলেন। মর্যাদা যে কত বড় বা কত শ্রেষ্ঠ তা যদি মানুষটা বুঝতো তাহলে কখনোই তার একে অপরের বিরুদ্ধে  লিপ্ত হতো না। স্বয়ং মহান রব্বুল আলামীন মানুষকে তার নিজের হাত দিয়ে বানিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আখ্যায়িত করলেন। সেই শ্রেষ্ঠ জীব মানুষই আল্লাহর বিরুদ্ধে চরণ শুরু করলো। তাহলে মানুষ হিসাবে আমরা কতটা খারাপ বা কতটা নির্দিষ্ট তা যদি আমরা কখনো অনুভব করতে পারতাম তাহলে আমরা স্রষ্টার বিরুদ্ধে চরণ করতাম না।

কোটি কোটি মাখলুকাতের সৃষ্টি হিসেবে আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোর অবশ্য একটি অন্তর্নিত কারণ নিহিত আছে। এক মানুষ আর এক মানুষের বিপদে-আপদে সুখে দুখে সর্ব অবস্থায় পাশে থাকবে এটাই হল কাম্য। কিন্তু আজকাল আমরা যা লক্ষ্য করি তা খুবই বেদনাদায়ক আমরা একজনের সুখে দুখে বিপদে-আপদে সাহস তুলতে পারি না আমরা হিংসা করি বা নিজের কার্পণতার খাতিরে হলেও আমরা মানুষের বিপদে দাঁড়াই না যা চরম লজ্জার মানুষ হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে মানুষের অবশ্যই উচিত কোন ভাই বিপদে পড়লে তার বিপদে এগিয়ে আসা কোন ভাই অসুস্থ হলে তার সেবা সুস্বা করা কোন ভাই অসহায় হলে তার পথে পাশে দাঁড়ানো। কোন ভাই না খেয়ে থাকলে তার খাবার জোগানো কোন ভাইয়ের দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় পড়লে তার উন্নতির কামনা করা তবেই না  মানুষ হিসেবে আমরা শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে আখ্যায়িত হতে পারবো।

জীবনে চলার পথে আমরা অনেক ভুল করে থাকি এই ভুলগুলোর জন্য কখনো আমরা অনুশোচনা করি না। যা নিত্যান্তই খারাপ প্রকৃতপক্ষে শ্রেষ্ঠ মানুষ সেই যে নিজের ভুল বুঝতে পেরে বা নিজের অপরাধ বুঝতে পেরে অনুশোচনায় ভোগে। দৈনন্দিন চলার পথে আমাদের একজনের সাথে আরেকজনের মতির অমিল বা পার্থক্য দেখা যায় এইমাত্র অমিল বা পার্থক্যর জের ধরে আমরা অনেকেই ঘৃণিত কাজে লিপ্ত হই।যা মোটেও ঠিক না আমরা একজনের বিপদে আর একজন হাসি একজন কষ্ট পেলে আর একজন তাচ্ছিল্য করি একজন মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকলে আমরা তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা মজে যাই। আমরা মানুষের বিপদ দেখলে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে আসে চেষ্টা করি বা নিজেকে হাইট রাখী হয়তোবা মানুষটা আমার কাছে কোন অর্থ বা কোন সাহায্য চাইতে পারি এর কারণে।

প্রকৃত অর্থে মানুষ আমরা একই কিন্তু আমাদের চালচলন আচার ব্যবহার ও ব্যক্তিত্বে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। মানুষ অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা এক একজনকে এক এক জ্ঞানের অধিকারী করে তোলেন ভাই একেক জনকে এক এক রকমের করুণা দান করেন। এই করুণা হতে পারে ধন সম্পদ অর্থ সম্মান বৈভব। আবার হতে পারে দারিদ্রতা স্বাস্থ্যহীনতা খুদা ইত্যাদি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকেই সম্মান দান করে আল্লাহর উপরে কেউ নেই বালাকে বাধ্য করার মত কোন শক্তি নেই। মানুষের প্রতি আল্লাহর এই যে করুন অবশ্য এখানে শিক্ষার বিষয় আছে কিন্তু আমরা এখান থেকে শিক্ষা না নিয়ে আমরা মনে করি যে অর্থ সম্পদ মান সম্মান সব আমাদের নিজের অর্জিত সম্পদ আমরা চাইলেই এর ভাগীদার কাউকে করতে পারি আর না চাইলেও করতে পারিনা। আসলে আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি করুণা এই কারণেই করেনি যে মানুষ আত্ম  অহংকারী হয়ে ওঠে আল্লাহ তাআলা চেয়েছিল কার হিসাব করুনার মাধ্যমে তার জয় গান করবি বা তার দাসত্ব করবে এবং তার দেয়া বিধান মতে জীবন পরিচালনা করবে এবং তার দেয়া ধন সম্পদ থেকে গরিবদের কে সাজা সহযোগিতা করবে কিন্তু তা না মানুষের পুরো উল্টোটা করে থাকে কখনো কোন অবস্থায় ভালো মানুষের কাম্য নয়।

আমরা অবশ্যই একজনের প্রতি অন্যজনের ঘৃন্য  আচরণে লিপতো  হবে না এবং অবশ্যই আমরা আমাদের সাধ্যমত একজনের বিপদে অপরজন খুটি হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবো। আর হ্যাঁ মানুষ হিসেবে এটাই কাম্য। যদি আমরা আমাদের ইচ্ছে মতো স্বেচ্ছাচারিতার জীবন ধারণ করি তাহলে অবশ্যই আমাদের এর ফল ইহকাল হোক বা পরকাল হোক দুকালের কোন এক কালেই আমাদের ভোগ করতে হবে।

মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠ জীব আল্লাহ তাআলা এমনি এমনি করেনি অবশ্য এর মধ্যে গভীর রহস্য নিহত রয়েছে যা আমাদের বিবেক এবং বুদ্ধি দ্বারা অবশ্যই বুঝতে হবে বা রিসার্চ করতে হবে। আমরা মানুষ হিসেবে কি মানুষ আপন মানুষের ভাই এক ভাইয়ের এক হাত নষ্ট হলে যেন আর এক ভাইয়ের এ খাত নষ্ট হল এক ভাইয়ের কলিজায় আঘাত লাগলে যেন অপর ভাইয়ের কলিজা পুড়ে গেল তাহলেই না আমরা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গণ্য হবো।একে অপরের প্রতি ঘৃণা হিংসা বিদ্বেষ রাগ তাপ সমস্ত প্রকার কুপবৃত্তির বিনাশ সাধন করে অবশ্যই আমরা স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। এতে  করে অবশ্যই স্রষ্টা  আমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং খুশি হয় আমাদের ইহকাল ও পরকালকে সুবিন্যস্ত করবেন তার চির সুখের আবাসনে। আজ থেকে আমরা হিংসা বিদ্বেষ সব ভুলে গিয়ে একে অপরের ভালোবাায় সিক্ত হয়ে মনিবের গুনো কীর্তন করবো।

পরিশেষে, আজকের আমাদের প্রতিবেদনটি দ্বারা বা আর্টিকেলটি দ্বারা সবার উপর মানুষ সত্য তার উপরে কেউ নাই কথাটির মর্মার্থ সম্পর্কে বিশদ ধারনা দিয়েছি যা আপনাদের একজন ভালো মানুষ গঠনে সহযোগিতা করবে। আমাদের প্রতিবেদনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে লাইক কমেন্ট ভিজিট করে  আমাদের  পাশে থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *