প্রিয় দর্শক বৃন্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আপনাদের সামনে আলোচনা করতে যাচ্ছি যা আমাকে নিজেই প্রলুদ্ধ করেছে এবং আমি আমার নিজের ইচ্ছা অনুযায় আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য চিন্তা করেছি। আজকের বিষয়টা এই কারণে আমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেছি যারা ইসলাম ধর্মের উপর বিশ্বাসী এবং যারা ইসলাম ধর্মের উপর নিয়োজিত রয়েছেন তাদের সকলের ক্ষেত্রে এইসব তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরী এবং যারা অমুসলিম এবং বিধর্মে রয়েছে তাদেরও ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা থাকা অত্যাবশক বলে মনে করছি। আমি আমার প্রয়োজনের দিক থেকে এবং আমার দায়িত্বের দিক থেকে এটা মনে করেছি যে আপনাদেরকে আজকে আমি জানিয়ে দেবো ইসলাম ধর্মের নবী রাসূলগণের তালিকায় এবং তাদের জন্মস্থান সম্পর্কে আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি অনেক ভালো সাজানো গোছানো হবে যা আপনাদের জ্ঞানে ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করবে তাই আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে শেষ পর্যন্ত থাকুন এবং ধৈর্য সহকারে দেখুন –
আজকে আমি আপনাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিব ইসলাম ধর্মের নবী রাসুলগণের তালিকা এবং তাদের নাম এবং তারা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। এইসব নবীগণদের নাম এবং তাদের দেশের তালিকা আপনাদের আপনাদের সামনে পেশ করব। ইসলাম একটা হল মহিমান্বিত ধর্ম যুগে যুগে বিভিন্ন রসুল এবং নবীর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার দ্বীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে তার প্রিয় হাবিবদেরকে পাঠিয়েছেন। যদিও আমরা নামে মুসলমান তবে আমরা আমাদের কর্ম এবং দক্ষতার ভিত্তিতে এবং ধরা পনের দিক থেকে মুসলমান হয়ে উঠতে পারেনি।আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা যারা ইসলাম ধর্মের নবী-রাসূলগণদের নাম সম্পর্কে অভিহিত নয়। সে সব হতভাগাদের কথা ভেবে আজকে আমি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি এবং এই আর্টিকেলটি তুলে ধরেছি আমাদের নিজস্ব দায়িত্ববোধ থেকে। যাতে করে আপনারা নবী-রাসূলগণের নাম এবং অংশের তালিকায় এবং তাদের বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারেন –
আমাদের মনে রাখতে হবে ইসলাম ভালোবাসা এবং সম্প্রীতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়নি ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রক্ত ক্ষয়ের মাধ্যমে এবং নানান প্রাকৃতিক এর মাধ্যমে। আমরা জানতে পেরেছি বিভিন্ন রাসূল এবং নবীগণ অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের জীবন বাঁচিয়ে রেখে তারা তাদের ধর্ম প্রচার করেছেন। তাদের সার্বিক জীবন যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখব সেখানে শুধু ধর্মের বিচরণ। তারা ধর্মের ছায়াতলে আসার জন্য সবাইকে নসিহত করেছিলেন। যারা হেদায়েত প্রাপ্তি বাজারদেরকে আল্লাহতালা হেদায়েত দান করেন তারা অবশ্যই ইসলামের মহান ছায়া তলে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা নবী রাসূলগণের তালিকা সম্বন্ধে খোঁজ করে থাকেন। তাহলে সেইসব ভাইদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলছে। কারণ নবী-রাসূলগণের তথ্য আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জানা উচিত। কারণ ধর্ম সম্পর্কে যদি আমরা নূন্যতম জ্ঞান না রাখি বা ধর্মের বা ধর্মের মহান পুরুষদের সম্পর্কে যদি না জানি তাহলে অবশ্যই এটা নিন্দা নিয়ে এবং লজ্জার কাজ হিসেবে প্রতিস্থাপন হবে।
যদি আপনি আপনাদের ধর্ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন হলে চলবে না ধর্মের সম্পর্কে আপনাকে সমস্ত প্রকারের জ্ঞান রাখতে হবে। যাতে করে আপনি আপনার দিন ধর্ম ইসলাম সঠিকভাবে পালন করতে পারেন। এবং ইসলামের সঠিক পথে আপনি চলতে পারেন। স্বয়ং মহান রব্বুল আলামীন আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলা মুমিনদেরকে হেদায়েত করার জন্য সৃষ্টির আদি থেকে এ পর্যন্ত নানান পয়গম্বর পাঠিয়েছেন যাতে করে দিক হারা জাতি তাদের দিক খুঁজে পায়। এবং ইসলামের সু শীতল ছায়াতলে আসতে পারে। তাহলে দেরি না করে আসুন নবী রাসুলগনের নাম এবং তাদের নামের অর্থসহ আরো নানান তথ্য –
নবী-রাসূলদের নামের তালিকা
আপনি এবং আপনারা কি নবী রাসুল সালাম এর নামের অর্থ সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেছেন তাহলে আর চিন্তা নয় আপনারা ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব নবী রাসুলের নামের তালিকা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য। আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা নবী-রাসূলগণের নামের অর্থ সম্পর্কে জানিয়ে দিব। এবং যারা নবী-রাসূলগণের নামের অর্থ এবং তাদের দেশ এবং কাজ সম্পর্কে জানতে এসেছেন তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি দ্বারা অবশ্যই উপকৃত হবে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পর আপনাদের বৃথা যাবেনা। তাই ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকুন আজকে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব বিশিষ্ট নবী রাসূলগণের নামের তালিকা এবং নামের অর্থ সহজ যাবতীয় তথ্য দিয়ে। যে তথ্যগুলো আপনি কাজে লাগিয়ে আপনার দ্বীন ইসলামের পথের পাথেয় তৈরি করতে পারেন। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক নবী-রাসূলগণের নামের অর্থ সম্পর্কে –
১,হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) = লকবঃ রুহুল্লাহ/ আল্লাহর প্রদত্ত আত্মা। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সর্বশেষ রাসূল ও নবী, আল্লাহর রসূল। সর্বশেষ নবী।
২,উযায়ের (আঃ) = ইহুদীরা তাকে আল্লাহর পুত্র বলত।
৩, যুল-কারনায়েন (আঃ) =বলা হয়ে থাকে তিনি আলেকজান্ডার দিগ্রেট, কিন্তু তা ঐতিহাসিক অনুমান, সঠিক নয়।
৪,শীস (আঃ) = লকবঃ হিবাতুল্লাহ/ আল্লাহরদান
৫,হউশা (আঃ) = লকবঃ মূসা (আঃ) এর বিশিষ্ট সহচর।
শাময়ূন (আঃ) =দাউদ (আঃ) এর পূর্বে তিনি আবির্ভূত হন।
লূত (আঃ) = ইবরাহীম (আঃ)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র
হুদ (আঃ) =পবিত্র কোরআনে তাঁর নাম ৭ বার এসেছে।
সালেহ (আঃ) = নাকাতুল্লাহ/ আল্লাহর উট তাঁর মুজেযা
ইবরাহীম (আঃ) = লবকঃ খালীলুল্লাহ/ আল্লাহর বন্ধু
যূল কুফল (আঃ) = পবিত্র কুরআনের দুই সূরায় তাঁর নাম এসেছে।
শোয়াইব (আঃ) =সুপ্রসিদ্ধ বক্তা ও মূসা (আঃ)-এর শ্বশুর
খিজির (আঃ) = যার নবুয়ত সম্পর্কে মতভেদ আছে। অনেকেই তাকে নবী ও বলেন।
মূসা (আঃ) = লকবঃ কালীম উল্লাহ/ আল্লাহর সাথে কথোপকথন কারী
হারুন (আঃ) = মূসা (আঃ) এর ভাই ও সুবক্তা
দাউদ (আঃ) = সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন
সুলায়মান (আঃ) =জ্বীন ও মানুষের বাদশা ছিলেন।
জারজীস (জজীস) = মুজাহিদ ও বনী ইসরাঈলের নবী
খানূক (আঃ) = বনী ইসরাঈলের নবী ছিলেন।
দানিয়াল (আঃ) = মূসা (আঃ) মৃত্যুর পর তিনি আসেন।
হিযক্বীল (আঃ) = পবিত্র কুরআনের একটি সূরা তাঁর নামে নামকরণ করেছেন আল্লাহ।
ইসমাঈল (আঃ) = লকবঃ জবীহুল্লাহ/ উৎসর্গীকৃত
ইসহাক (আঃ) =ইবরাহীম (আঃ) এর পুত্র; তাঁর নাম পবিত্র কুরআনে ১৭ বার এসেছে।
ইয়াকুব (আঃ) =পবিত্র কুরআনে ১২ জায়গায় তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে
ইউসুফ (আঃ) = তার জীবনের ঘটনাকে “আহসানুল কাসাস” নামে অভিহিত করা হয়েছে।
আইয়ূব (আঃ) =দীর্ঘ আঠার বছর অসুস্থাবস্থায় থেকে আল্লাহর পরীক্ষায় পাশ করেন।
আদম (আঃ) = আদি পুরুষ। লকবঃ আবুল বাশার (মানবজাতির পিতা) সাফী উল্লাহ।
নূহ (আঃ) =প্রথম রাসূল ও নবী। লকবঃ নবীউল্লাহ/আল্লাহর নবী
ইদরীস (আঃ) = জ্যোতি বিজ্ঞানের উদ্ভাবক ও শিক্ষাবিদ
ইলইয়াস (আঃ) = তিনি এখনো পৃথিবীর বুকে জীবিত আছেন।
ইউনূস (আঃ) = লকবঃ যুননুন/ মাছওয়ালা
আল ইয়াসা (আঃ) = বনী ইসরাঈলের একজন নবী
যাকারিয়া (আঃ) = হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) এর পিতা
ঈসা (আঃ) = আলোচিত হয়েছে।
কোন নবীর জন্ম কোথায়
প্রিয় ভিজিটার বৃন্দ আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো নবী সাল্লাল্লাহু সালামের জন্ম কোথায় এবং আপনি কি নবী রাসূলগণের জন্ম সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন এবং তাদের জন্মস্থান কোথায় এই সম্পর্কে আমাদের প্রশ্ন করেছেন তাহলে আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি ফল-পশু হবে আশা করি। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টটি মাধ্যমে আপনাদেরকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো নবীরে রাসূল দের জন্মস্থান সম্পর্কে। যাতে করে আপনারা নবী এবং রাসূল সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পারেন। তারা তাদের জীবন কিভাবে ব্যয় করছে এবং ইসলামের জন্য তাদের কত কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে সেই সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে আসুন আজকে আপনাদেরকে আমি জানিয়ে দিব নবী রাসূল গঞ্জের জন্মস্থান সম্পর্কে অজানা তথ্য। আমরা এটা জানি নবী রসূল নানান কষ্ট যাতনা যন্ত্রনা কষ্ট ভোগ করে নিজের দেশ ত্যাগ করে অর্থাৎ হিজরত করে দিন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশ ত্যাগী হয়েছেন। এবং তারা যে ইসলামের সুপত প্রশ্ন করে গিয়েছে আমরা যেন সেই সুপথে চলতে পারি এবং আমাদের জীবন চালাতে পারি। যাতে করে আমরা ইহকাল ও পরকালে কামিয়াবি হতে পারি। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আকুল আবেদন আমরা যেন দীন ইসলামের পথে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি এবং দিন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এবং ইসলামের জন্য আমাদেরকে যেন কবুল করে নেয় আল্লাহ তায়ালা। তাই আসুন দেরি না করে আমরা নবী এবং রাসূলের জন্মস্থান সম্পর্কে জেনে নিই –
হযরত মূসা (আঃ) = মিশর
হযরত ইয়াহ ইয়া (আঃ) = ফিলিস্তিন
হযরত জাকারিয়া (আঃ) = ফিলিস্তিন
হযরত ইসহাক (আঃ) = ফিলিস্তিন
হযরত ইউসুফ (আঃ) = ফিলিস্তিন
হযরত লুত (আঃ) =জর্ডান ইরাক
হযরত আইয়ুব (আঃ) = জর্ডান
হযরত হুদ (আঃ) = ইয়েমেন
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) = সৌদি আরব
হযরত আদম (আঃ) = শ্রীলংকা
হযরত নূহ (আঃ) = জর্ডান
হযরত শোয়াইব (আঃ) = সিরিয়া
হযরত সালেহ (আঃ) = লেবানন
হযরত ঈব্রাহীম (আঃ) = ইরাক
হযরত ইসমাঈল (আঃ) = সৌদি আরব
হযরত ইয়াকুব (আঃ) =ফিলিস্তিন
পরিশেষে, আমরা আমাদের আর্টিকেলটি মনে আপনাদের সামনে নবী এবং রাসূলগণের নামের তালিকা এবং নামের অর্থ এবং তাদের জন্মস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা তুলে ধরেছি যাতে করে আপনার উপকৃত হন। এবং নবী রাসূলগণের দেখানো পথ চেয়ে চলতে পারেন। তাই আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট শেয়ার এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে সভায় পাশে থাকুন আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।