প্রবন্ধটির শুরুতে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আশাকরি সস্টার অশেষ রহমতে আপনারা সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় আল্লাহ তাআলার রহমতে। আপনারা অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে এবং ওয়েবসাইটে গিয়ে আরা সম্পর্কে কিছু অসুবিধা তথ্য সার্চ করে থাকেন। সেইসব ভাই এবং বোনদের জন্য আজকের আমাদের আর্টিকেলটি তুলে ধরা হলো। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের জ্ঞানের রসদ জাগাবে। আমরা আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে হায়না সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য সুন্দরভাবে যা সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যেগুলো তথ্য আপনি আপনার আশেপাশে বন্ধু বান্ধবের নিকট পৌঁছে দিয়ে বাহবা করাতে পারেন। এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে সেগুলো পোস্ট করতে পারেন তাহলে আর দেরি নয় ধৈর্য সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের মনোরঞ্জন জগতে সার্থক হবে।
পৃথিবীর বেশ কিছু হিংস্র প্রাণী রয়েছে যদিও আমরা হিংস্র প্রাণের তালিকা করি তাহলে হয়তো বা সিংহভাগ সাপ এসব কিছুই আগে আসবে। কিন্তু এসব কিছুর চেয়েও আরেকটি ভয়ংকর প্রাণী রয়েছে যা আমাদের অতি পরিচিত এবং কাছের। পৃথিবীর বিলুপ্তি প্রায় প্রাণীর মধ্যে হায়েনা আছে। বর্তমান সময় যদি আমরা হায়েনার বাসস্থানের কথা চিন্তা করি তাহলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসবে আফ্রিকার বনাঞ্চল যাকে পৃথিবীর সতেজ প্রকৃতির অভয়ারণ্য বলা হয়। পৃথিবীতে যত প্রাণী কুল আছে তার অধিকাংশই আফ্রিকা মহাদেশ কর্তৃক বিস্তৃত। আমরা আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেবো বিপন্ন প্রায় প্রাণীটি সম্পর্কে নানান রকমের তথ্য।
অনেক প্রকারের হিংস্র প্রাণীর মধ্যে হায়না এক ধরনের হিংস্র প্রাণী। যার সম্পর্কে অবিশ্বাস্য কিছু কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আফ্রিকা মহাদেশের মাংসসি প্রাণী গুলোর মধ্যে হায়েনা অন্যতম। এবং এই বিলুপ্তি প্রায় প্রজাতি সবার পরিচিত। এসব প্রাণী আফ্রিকার দক্ষিণ থেকে উত্তর পর্যন্ত বিস্তৃত অর্থাৎ নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে আফ্রিকার অধিকাংশ জায়গা নিয়ে যাদের বসবাস। এদেরকে শুল্ক মরুভূমি অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি সাহারা তো দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর উষ্ণতম জায়গা গুলোর মধ্যে সাহারা মরুভূমি হল অন্যতম। যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব টিকেট থাকাটাই মুশকিল ও দুর্লভ। পৃথিবীতে যত প্রকার হিংস্র প্রাণী রয়েছে তা হিংস্র প্রাণীর যদি তালিকা করা হয়ে থাকে তাহলে তাদের নাম প্রথম সারিতে রয়েছে এরা এত বেশি হিংস্র যে কিছু কিছু সময় বাক এবং সিংহকে টক্কর দিয়ে থাকে। এরা অন্যান্য মাংসাশী প্রাণীরদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করতেছে।দৈহিক আকৃতিতে এরা খুব বৃহৎ না হলেও মোটামুটি শারীরিক অবস্থা খুবই সুঠম ও স্বাস্থবান। এদের মাথাও যথেষ্ট পরিমাণে বড় এবং ভীষণ রকমের শক্তিশালী ও তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী।
সাধারণভাবে যদি আমরা খেয়াল করে থাকি তাহলে যে কোন প্রাণীর আকৃতি চতুর দিক থেকে সমান হয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হায়েনা একটু অন্যরকম তাদের সামনের দু পায়ের চেয়ে পিছনের দুপা একটু বড় ও লম্বা প্রকৃতির। এজন্য যেকোনো প্রাণীকে তারা ঘায়েল করতে হলে তাদের দীর্ঘ দৌড় বলে দেয় তারা কতটা শক্তিশালী এরা দীর্ঘলম্ফ দিতে বেশ পটু।এইভাবে তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে থাকে। হায় নাকি আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টারের মধ্যে এর কার্টুন অথবা ফানি ক্যারেক্টারে বেশি দেখে থাকি ভাবস্ত হয়ে গেছি। এরা বিভিন্ন ধরনের কার্টুন এ হাস্যকর অথবা হিংস্র যে হিসেবে থাকুক না কেন এদের বাস্তব চরিত্র এবং অভ্যাসের সঙ্গে মিল রয়েছে। যদিও কুকুর এবং হায়েনাকে দেখতে একই রকমের মনে হয় তবে এদের বৈশিষ্ট্যগত কিছু পার্থক্য রয়েছে কুকুর মাংস ভোজী প্রাণী নয় এ ক্ষেত্রে হায়না হলো মাংসভোজি প্রাণী। এবং এদের চরিত্র স্বভাব কুকুর থেকে অনেক পার্থক্য।
বিশেষ করে আমাদের মত বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের কুকুর দেখতে পাওয়া যায় যাদেরকে বাংলাদেশের মানুষ ভক্ষণ করে না বা খায় না। এবং দেখতে আবার অনেক সময় বিদেশি যাতে কুকুরদের মতো মনে হয়। জীববৈচিত্রের দিক থেকে এর বিড়াল এবং সাইনেট ইত্যাদি প্রাণীর সঙ্গে মিল রয়েছে। এমন অনেক হায়েনার প্রজাতি রয়েছে যারা হাসতে ভীষণ ভালোবাসে এবং বিভিন্ন ধরনের তারা মিউজিক ও সাউন্ড দিতে পারে। যা অনেক সময় অনেকে মানুষের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং মানুষ অনেক মৃত সন্তুষ্ট বোধ হয়ে থাকে। রাতের বেলায় বিশেষ করে জঙ্গলে তাদের চিৎকার মানুষের মনে ভয়ের সৃষ্টি করে থাকে। এদের মধ্যে কিছু কিছু ডোরাকাটা হায়েনা রয়েছে যারা নীরবে নিভৃতে চলতে পছন্দ করে। এবং কে ক্লিন বা প্যাকপ্যাক শব্দ করে থাকে ধীরে ধীরে এই শব্দ চলতে থাকলেও একসময় এই শব্দ বিশালাকার ধারণ করে যা মানুষের ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যদি ওই ধরনের আশায় না অনেক সময় ভয় পেয়ে থাকলে তাদের শরীরে থাকা লোম শিউরে ওঠে।
যা সম্পূর্ণ শরীর লোমের চাইতে দ্বিগুণ বড় যদি এই ধরনের হায়েনা কখনো বিপদে পড়ে এদের মধ্যে বিশেষ করে দুই ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। প্রথমত হলো এরা শিকারীকে ভয় দেখে তাড়িয়ে দিতে চায়, অথবা নিজেরাই সেই স্থান ত্যাগ করে দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে সেই প্রবণতা তাদের কাজ করে থাকে। বিপদায় পড়লে সাধারণত তাদের এই প্রবণতা মস্তিষ্কের মধ্যে কাজ করে থাকে। পৃথিবীর অধিকাংশ আফ্রিকা মহাদেশের মরু অঞ্চলে বসবাস করে। এদের সকলের বৈশিষ্ট্য অনেক সময় এক রকমের হয় না হায়েনার বিভিন্ন ধরনের জাত এবং প্রকৃতি রয়েছে এবং এরা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এক ধরনের হয়ে থাকে।
পরিশেষে, হয়েনা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থিত করেছি যেগুলো আপনাদের মনোরঞ্জনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটির দ্বারা আপনারাও অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং আমার তথ্যগুলো শেয়ার করে বন্ধু বান্ধবের কাছে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। যদি আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে পরিবর্তীতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পাশে থাকুন সবসময় আল্লাহ হাফেজ ধন্যবাদ সবাইকে।