আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু আশা করি আল্লাহ তায়ালা অশেষ রহমতে আপনার সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। বরাবরের মতো আপনাদের জন্য আজকে একটি খবর নিয়ে হাজির হয়েছে আশা করি সুখবরটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আমরা আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার যত কৃষক রয়েছে তাদেরকে সেই সাথে যারা আধুনিক পদ্ধতিতে হাস্য চাষ করতে চান তাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়ে এগুলো জানতে হবে। সবার সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুরু করতে যাচ্ছি আশা করি আপনারা প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধৈর্য সহকারে আমাদের সাথে। আপনারা জানেন বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ হচ্ছে কৃষি নির্ভর কৃষি নির্ভর অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ পুরা পৃথিবীর কাছে। তাই কৃষক এবং কিসের জন্য আমাদের অনেক কিছু জানতে হবে অনেক বিষয় জ্ঞান রাখতে হবে এই বিষয়গুলো আমাদেরকে খেয়াল করতে হবে। আধুনিকতার এই যুগে সবচেয়ে বড় প্রধান সমস্যা হল খাদ্য সমস্যা খাদ্য সমস্যা সহায়ক সম্পন্ন না হলে কোন দেশ তার উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে পারে না।
তাই মূলত আমাদের আর্টিকেলটি আজকে কৃষি নির্ভর একটি আর্টিকেল হতে যাচ্ছে আশা করি আপনারা এই আর্টিকেল মনের মাধ্যমে কৃষি নির্ভর অনেক তথ্য জানতে পারবেন এবং আপনি আপনার প্রয়োজনীয় সকল কর্ম সম্পাদন করতে পারবেন এই তথ্য নিয়ে। যদিও বাংলাদেশের একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র তবু এই দেশের খাদ্য ঘাট থেকে রয়ে গেছে কোন না কোন ক্ষেত্রে। তাই খাদ্য খাত্রি যাতে করে আমরা পোষাতে পারি এবং আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারি সেই দিকটা অবশ্যই সকলের নজর রাখা প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা কৃষি সম্পর্কে একদম ভঙ্গুর কোন কিছুই জানেনা। এবং আরেকদল মানুষ আছে যারা আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক যে যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং কীটনাশক রয়েছে সেই কীটনাশকের সঠিক প্রয়োগ করে ফসলের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করতেছে তাই এক্ষেত্রে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে প্রত্যেকটা মানুষের। আমরা জানি কিসনির্বার অর্থনীতির দেশ হলো আমাদের এই দেশ বা এদেশের অধিকাংশ শির উপর নির্ভর করে তাদের তাদের জীবন যাপন করে থাকে। তাই আসুন আজকে আমরা জেনে নেই কৃষি নির্ভর পদ্ধতিতে কি ফসল ফলালে আপনি কত পরিমান লাভ পাবেন সেই সম্পর্কে।
আজকে মূলত আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করব চায়ের মিকানিয়া ও অন্যান্য দ্বিবীজপত্রী আগাছা সম্পর্কে। এবং আপনারা আরো জানতে পারবেন নানান ধরনের কচুরিপনা কিভাবে আগাছা বংশবিস্তার করে থাকে এবং তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য হবে কতটুকু প্রয়োগ করতে হবে এবং। এর থেকে সমাধান আপনারা কিভাবে করতে পারবেন এবং ফসল রক্ষা করতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই আগাছা নাশক যেকোন কীটনাশক ব্যবহার করার মাধ্যমে আগাছা দমন করতে হবে যাতে করে আপনার ফসলের বাড়ন্ত এবং সঠিক প্রজনন বৃদ্ধি পায়। তাই আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে মূলত আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব আগাছা নাশক কীটনাশক সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন আশা করি আমাদের এই ইনফরমেশনের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। তাই আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে আমাদের সাথে থাকুন আশা করি আপনারা আগাছানাচক সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উদঘাটন করতে পারবেন আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রতিবেদনটি দ্বারা –
এম ৭২ ডি ফ্লুইড আগাছানাশক কীটনাশক
প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আমরা আপনাদেরকে বাংলাদেশের অসাধারণ একটি কোম্পানি অর্থাৎ নিমপেজ গ্রুপের আগাছা নাশক যে কীটনাশক এম ৭২ বেরিয়েছে সেই সম্পর্কে আপনাদের একটি সম্মুখ ধারণা দিব আশা করি আপনারা এই প্রতিবেদনটির দ্বারা আপনাদের কৃষি কাজে আমূল পরিবর্তন করতে পারবেন তাই আমাদের সাথে থাকুন আর্টিকেলটি পড়তে – আমরা জানি অবশ্যই যে কোন বিষ ব্যবহারের পুরে তার বোতলের লেভেলিটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হয়। ৭২ ডিব্রুট একটি হলো প্রবাহমান আসা আগাছা নাশক যা দ্বিবীজপত্রী আগাছা যা মাটির কাণ্ড ভেদ করে ফসলের বারন্ত কমে দেয় এবং ফসলকে বাধাগ্রস্ত করে। অর্থাৎ চওড়া পাতা বিশিষ্ট আগাছা যে কোন আগাছা তারা দমন করে দেয়। আপনি ফসল লাগানোর পরে থেকে শুরু করে আগা ছাড়া বাড়ন্ত চারা ফুল ফোটার পূর্ব পর্যন্ত যদি এমবাতু ডিপ্লুয়েট শিখিয়ে দেন তাহলে দেখা যাবে যে যে কোন আগাছা দমন করা আপনার পক্ষে খুব সহজসাধ্য হয়ে যাবে। এবং আমাদেরকে জানতে হবে এই বিশেষ কি পরিমাণ সক্রিয় উপাদান রয়েছে সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো। আমরা জানি প্রতি লিটারে ৭২০ গ্রাম ২.৪ডি এমাইন সক্রিয় উপাদান আছে আছে। যার মাধ্যমে আমরা চাইলে খুব সহজে আমরা আমাদের আগাছা দমন করতে যোগ্য ভূমিকা রাখতে পারব।
প্রয়োগ মাত্রা
যেকোনো জিনিস ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই আমাদের তার প্রয়োগ সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা থাকতে হবে তা না হলে আমরা আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলব। ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলার পর আমরা হয়তোবা সেই কোম্পানিকে দুষবো নয়তো যেই বিক্রেতার কাছ থেকে আমরা এই কীটনাশকটি কিনে ফেলেছি তাকে আমরা দুষবো তাই কাউকে দোষতে হবে না অবশ্যই বোতলের নিচে আপনারা দেখতে পারবেন এর ব্যবহার বিধি এবং কয়েকমাতা সম্পর্কে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য যাতে করে আপনি আপনার ফসলকে। নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন –
আগাছার নাম
যেকোনো চায়ের মিটানিয়া
বাগ্রাকোট ও অন্যান্য দ্বিবীজপত্রী আগাছা
এবং যাবতীয় ধরনের কচুরিপনা।
আমরা আপনাদের জন্য সুন্দর করে প্রয়োগ মাত্রা সম্পর্কে জানিয়ে দিতেছি নিচে
দেখে নিন –
পাঁচ শতাংশ জমির জন্য ১০ লিটার পানিতে অবশ্যই আপনাকে ৪৫ মিলি ব্যবহার করতে হবে। এবং যে কোন যাবতীয় কচুরিপানাকে যদি আপনি সমূলে ধ্বংস করতে চান তাহলে ৪৫ মিলি ৫ শতাংশ জমির জন্য এই কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এবং আপনাদের আরো মনে রাখতে হবে যে চায়ের মিকানিয়া ও অন্যান্য দ্বীবীজপত্রী আগাছা ধ্বংস করতে হলেও আপনাদেরকে হেক্টর প্রতি প্রয়োগ মাত্রার ২.৫ লিটার ব্যবহার করতে হবে।
এবং আরেকটি বিষয় আপনাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না আপনি যদি যাবতীয় কচুরিপানা সমূলে ধ্বংস করতে চান তাহলে আপনাদেরকে হেক্টর প্রতি ২.৫ লিটার প্রয়োগ করতে হবে।
সাবধানতা
যেকোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহারে পূর্বে অবশ্যই আপনাদেরকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে যাতে করে এর দ্বারা আপনাদের এবং আপনার পরিবারে কারো কোনো ক্ষতি সাধন না হয়। কারণ যদি ক্ষতি সাধন হয়ে যায় তখন আপনারা একটি বড় ঝামেলায় পড়ে যাবেন এবং এই ঝামেলা থেকে আপনারা যদি চিকিৎসা না পান তাহলে আপনাদের অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাই আজকে আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব এই ২০ এবং কীটনাশকের সাবধানতা সম্পর্কে আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন –
অবশ্যই এম ৭২ ডিফ্লুয়েট খেতে স্প্রে করার সময় যে বিষয়গুলো আপনাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে তার একটি তালিকা আমরা তৈরি করেছি –
খেতে স্প্রে করার সময় আপনাকে যেকোনো ধরনের ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে
এবং আহার পানীয় গ্রহণ করা যাবে না মনে রাখতে হবে।
আমরা অনেক সময় খালি গায়ে স্প্রে করি কিন্তু খালি গায়ে বাতাসের পিওরিতে স্প্রে করা যাবে না।
অবশ্যই স্প্রে করার পরে আমরা বোতলের মুখ বন্ধ রেখে যেকোনো ধরনের খাবার এবং শিশুদের নাগালের বাইরে এবং শুষ্ক ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে।
এবং সর্বপ্রথম যে বিষয়টা আমাদের মনে রাখতে হবে সেটা হলো ব্যবহৃত খালি বোতলটি আমাদের পুরে ফেলতে হবে বা পুতে ফেলতে হবে।
এবং আরেকটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য সেটা হল অবশ্যই এসবে করার পথ ১৪ থেকে ২১ দিনের মাত্রায় যে কোন ধরনের ক্ষেত্রে ফসল আমাদেরকে আহার বা বিক্রি করা যাবে না এবং সেই ক্ষেত্রে পশুপাখি ঢুকতে দেয়া যাবে না তাদেরকে বাঁধা বুঝতে করার জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিষক্রিয়ার লক্ষণ
অনেক সময় আনঅ্যাক্সিডেন্টলি আমরা যেকোনো ধরনের বিপদের সম্মুখীন হয়ে যাই। তাই যেকোনো ধরনের বিপদের সম্মুখীন থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের প্রয়োজনীয় যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা এখন আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানতে পারেন আমাদের পড়তে থাকুন –
বিষক্রিয়ার প্রথম লক্ষণ হল চোখ জ্বালা করা।
তারপর যদি আপনার ক্লান্তিবোধ অনুভব হয় সেটা।
অনেক সময় মুখ থেকে রোগীর লালা ঝরতে পারে।
হুটাহাট রকমের মাথা ধরা।
এবং মাঝেমধ্যে আপনার বমি প্রচণ্ড চাপ আশা ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসা
যদি আমরা দেখা যায় এই সমস্ত কীটনাশকের ফাঁদে পড়ে আটকা পড়ে যায় এবং যদি আমরা অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তাৎক্ষণিক যে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে সেই প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আমাদের নিকটরাষ্ট্র ডাক্তারদের কাছ থেকে করে নিতে হবে অথবা আমাদের মধ্যে যারা অভিজ্ঞ রয়েছে তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা স্বরূপ কিছু নির্দেশনা রয়েছে সেটা আমাদের ফলো করতে হবে –
আমাদেরকে মনে রাখতে হবে শরীরে লাগলে প্রচুর পরিমাণে সেই শরীর থেকে আমাদের পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে।
এবং যদি দেখা যায় ভুলবশত কেউ বা কোন রাগের বশবর্তী হয়ে এই কি নাটক খেয়ে ফেলে তাহলে অবশ্যই তাকে বমি করাতে হবে।
যে বিষয়টি আমাদেরকে নজর দিতে হবে অবশ্যই কোনো অচেতন ব্যক্তিকে কখনো বমি করানোর চেষ্টা করা যাবে না।
এবং যত দ্রুত সম্ভব আমাদের নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন হোল্ডার এবং উৎপাদন তারিখ
সর্বশেষ আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন মিমপেক্স কোম্পানির এম্বা তোর ডিপ্লয়েড এর রেজিস্ট্রেশন নং এবং এর হোল্ডার নাম সহ যাবতীয় উৎপাদন তারিখ সহ সমস্ত প্রকার তথ্য আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব আশা করি আপনারা অনেক উপকৃত হবেন –
রেজিস্ট্রেশন হোল্ডার mimpax এগ্রোকেমিক্যালস কোম্পানির দ্বারা তৈরি হয়েছে।
এবং এর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার হল এপি ৪৮০২।
প্রস্তুতকারক কোম্পানির সম্পর্কে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি পেন্ডেল ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেড চায়নার দ্বারা এটা প্রস্তুতকৃত।
আমদানি ও ভারত জাতকারি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে নিয়োজিত রয়েছে মিমপেজ এগ্রো কেমিক্যালস লিমিটেড। বাড়ি নং ২৮ রোড ধানমন্ডি ঢাকা ১২০৫।
ব্যাচ নং ও উৎপাদনের তারিখ হলো ১৮৭ ২০২৩ এবং মেহেদীপ্তনের তারিখে হল জুলাইতে জুলাই ২০২৫।
সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৯২ টাকা।
যার দাম কোম্পানি চাইলেই নিজে বাড়াতে পারে এবং কমাতে পারে এর সম্পূর্ণ এখতিয়ার হল কোম্পানি তাই আমাদেরকে কেউ দোষবেন না এবং আপনার নিকটস্থ কোনো কীটনাশকের দোকানে গিয়ে তাদেরকে ঝামেলায় ফেলবেন না আশা করি আমাদের এই প্রতিবেদনটি যারা আপনারা সমস্ত তথ্য পেয়ে গেছেন। অবশ্যই আপনাদেরকে এই বৃষ্টি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। এটি মূলত আপনার পঞ্চাশ গ্রাম ১০০ মিলিগ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম এবং এর ঊর্ধ্বেও হতে পারে।
পরিশেষে, আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম বাংলাদেশের আগাছা দমনকারী কীটনাশক সম্পর্কে যা এম ৭২ ডি ফ্লুইট আগাছা দমনকারী যেকোনো ধরনের কচুরিপানা ধ্বংস করতে প্রচন্ড রকমের কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের প্রতিবেদনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে লাইক কমেন্ট এবং আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করে পাশে থাকা আল্লাহ হাফেজ।