ফজলুল রহমান বাবুর বায়োগ্রাফী

ফজলুল রহমান বাবুর বয়স,ওজন, উচ্চতা, পারিবারিক,অভিনয় জীবন ও ক্যারিয়ার

ফজলুল রহমান বাবুর শৈশব

 

তিনি বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ওখানে তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটান। তার বাবার কর্মস্থল পরিবর্তনের ফলে তারা সেখান থেকে চলে আসেন

ফজলুর রহমান বাবু (জন্ম আগস্ট ২২, ১৯৬০) হলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা এবং সঙ্গীতশিল্পী। তিনি সংক্ষেপে বাবু নামে অধিক পরিচিত। তিনি শতাধিক বাংলাদেশি টেলিভিশন নাটক, তার সাথে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং বহু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তিনি নাট্যধর্মী শঙ্খনাদ (২০০৪), মেয়েটি এখন কোথায় যাবে (২০১৬) ও ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে এবং গহীন বালুচর (২০১৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনয়শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০২১সালে (নোনা জলের কাব্য) চলচ্চিত্র অভিনয়ের জন্য শেষ্ঠ পাশ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন  ২০২১ সালে খাচার ভিতর অচিন পাখি অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা সমালোচক মেরিল পথম আলো পুরস্কার লাভ করেন  তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সমূহ হল দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭), মনপুরা (২০০৯), অজ্ঞাতনামা (২০১৬), এবং হালদা (২০১৭) (২০২১) নোনা জলের কাব্য 

ফজলুল রহমান বাবুর কর্মজীবন

মঞ্চনাটক এবং ব্যাংকে কর্মজীবন (১৯৭৮-১৯৮৯)

 

তিনি ১৯৭৮ সালে ফরিদপুরে “বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠিতে” যোগদানের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবনের শুরু করেন। একই বছর, বাবু প্রথমবারের মত জাতীয় নাট্য উৎসবে অভিনয় পরিবেশন করে। এরমধ্যে, তিনি ১৯৮৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে যোগদান করেন এবং তার কর্মস্থল ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ঢাকায় চলে আসার পর তিনি মামুনুর রশীদের “আরণ্যক নাট্যদল” মঞ্চ দলে যোগ দেন। মঞ্চে তার অভিনয়কৃত উল্লেখযোগ্য নাটক হল, নঙ্কার পালাপাথার এবং ময়ূর সিংহাসন

টেলিভিশন (১৯৮৯-১৯৯৯)

 

তিনি ১৯৯১ সালে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত প্রথম টেলিভিশন সোপ অপেরা হল মৃত্যুক্ষুধা। এটি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত মৃত্যুক্ষুধা অবলম্বনে নির্মিত এবং পরিচালনা করেছেন আবু জাফর সিদ্দিকী। এই নাটকটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত হয়। যাই হোক, মামুনুর রশীদের ইতিকথা (১৯৯১) টেলিভিশন নাটকে তিনি পরান মাঝির চরিত্রে অভিনয় করেন। এর ফলে, তিনি সুন্দরী ও দানব নাটকেও অভিনয়ের সুযোগ পান। বাবু তার হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে বিখ্যাত কিন্তু তার দানব এবং জয় জয়ন্তীর মত মঞ্চ নাটকে তিনি গম্ভীর চরিত্রে অভিনয় করেন।

টেলিভিশনে সাফল্য ও চলচ্চিত্রে আগমন (২০০০-২০১০)

 

বাবু ২০০০ সাল পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে টেলিভিশন এবং থিয়েটারে কাজ করে গেছেন, কিন্তু তিনি থিয়েটার অভিনয় ছেড়ে দেন যখন তার টেলিভিশনের কাজে মাসে পঁচিশ দিন তিনি ব্যস্ত থাকছেন। ২০০০ এবং ২০০১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বাবু প্রথম আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কাজ করেন, মঞ্চ নাটক বিহঙ্গ নাটকে। এছাড়া বাবু তৌকির আহমেদ পরিচালিত দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই সিনেমার গল্পকার, সংলাপ রচয়িতা ও চিত্রনাট্যকার হলেন হুমায়ূন আহমেদ।

ফজলুল রহমান বাবুর সঙ্গীত

 

বাবু মনপুরা সিনেমায় দুইটি গান গাওয়ার মাধ্যমে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বাবু তার প্রথম একক সঙ্গীত অ্যালবাম ইন্দুবালা (২০০৯)। এছাড়া তিনি মিশ্র সঙ্গীত অ্যালবাম মনচোর (২০০৮) এর চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

জন্ম আগস্ট ২২, ১৯৬০ (বয়স ৬২)

ফরিদপুর, বাংলাদেশ

জাতীয়তা বাংলাদেশি
পেশা অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী
কর্মজীবন ১৯৮৩–বর্তমান
পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৫ বার)
মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (৪ বার)

 

ফজলুল রহমান বাবুর পুরস্কার মনোনয়ন   

 

পুরস্কার বছর পুরস্কারের বিভাগ মনোনীত চলচ্চিত্র
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৪ শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা শঙ্খনাদ বিজয়ী
২০১৬ মেয়েটি এখন কোথায় যাবে বিজয়ী
২০১৭ শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা গহীন বালুচর বিজয়ী
২০১৯ শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা ফাগুন হাওয়ায় বিজয়ী
২০২১ শেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা নোনা জলের কাব্য মনোনীত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০০৩ শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা (সমালোচক) বিজয়ী মন্তব্য
২০০৮ শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা দৈনিক তোলপাড় মনোনীত
২০০৯ মনোনীত
শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা (সমালোচক) পাঞ্জাবীওয়ালা বিজয়ী
২০১৬ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা (সমালোচক) অজ্ঞাতনামা মনোনীত
আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস ২০১৩ ধারাবাহিক নাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – পার্শ্ব চরিত্র অলসপুর বিজয়ী
২০১৯ ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম বিষয়ক নাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা অন্যরকম ভালোবাসা বিজয়ী
২০২১ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা (সমালোচক) শেষ্ঠ অভিনেতা (ওয়েব ফিল্ম) খাঁচার ভিতর অচিন পাখি মনোনীত চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া পুরস্কার ২০২১ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (ওয়েব ফিল্ম) খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

ফজলুল রহমান বাবুর চলচ্চিত্র তালিকা

 

বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা পরিচালক মন্তব্য
২০০০ বিহঙ্গ
২০০১ চতুর্থ মাত্রা নুরুল আলম আতিক
২০০৪ শঙ্খনাদ আবু সাইয়ীদ বিজয়ী: বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা
২০০৬ না বোলনা হাবুল দিদারুল আলম বাদল
২০০৭ আহা! সুলেমান এনামুল করিম নির্ঝর
দারুচিনি দ্বীপ মনিরুদ্দিন তৌকীর আহমেদ
মেড ইন বাংলাদেশ কবিরুল ইসলাম / শিল্পকলা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
স্বপ্নডানায় সুরুজ গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
২০০৯ বৃত্তের বাইরে গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
মনপুরা পরীর বাবা গিয়াসউদ্দিন সেলিম
২০১৬ অজ্ঞাতনামা কিফায়েত উদ্দিন প্রামাণিক তৌকীর আহমেদ
একাত্তরের নিশান তাহের শিপন
২০১৭ মেয়েটি এখন কোথায় যাবে নাদের চৌধুরী
বিজয়ী: বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা
হালদা মনু মিয়া তৌকীর আহমেদ
গহীন বালুচর ইসমাইল বদরুল আনাম সৌদ

বিজয়ীঃ বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা

২০১৮ স্বপ্নজাল আয়নাল গাজী গিয়াসউদ্দিন সেলিম খল চরিত্রে
পোড়ামন ২ রায়হান রাফী
নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার পঙ্গু ভিক্ষুক মিজানুর রহমান লাবু
দহন কবির রায়হান রাফী
২০১৯ রেমাক্রী বাবা মাকসুদ হোসাইন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
ফাগুন হাওয়ায় চন্দর তৌকীর আহমেদ
মায়াবতী অরুণ চৌধুরী
ইন্দুবালা বৈদ্যনাথ জয় সরকার
আয়নাল ফকির
২০২০ বিশ্বসুন্দরী চয়নিকা চৌধুরী
২০২১ নোনা জলের কাব্য স্থানীয় চেয়ারম্যান রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বিজয়ী.শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

ফজলুল রহমান বাবুর নাটক

 

এক্সট্রা আর্টিস্ট (২০২০)মেহমান (২০২১) [১

হাউজ নং ৯৬ (২০২১)[১নিকষিত (২০২১) [

বছর শিরোনাম ওটিটি চরিত্র সহশিল্পী পরিচালক মন্তব্য
২০২০ বদমাইশ পোলাপাইন হিরণের বাবা মারজুক রাসেল, প্রত্তয় হিরণ, মাখনুন সুলতানা মহিমা, রায়হান খান, রাশেদ এমরান, আহসান হাবিব নিলয়, তৌফিকুল হাসান নিহাল, তানজিম হাসান অনিক, তানভীর নিলয়, আয়েশা সালমা মুক্তি, এস এম সামিউল আলম, সাগর হুদা, নিপুন আহমেদ মাবরু রশি বান্নাহ
২০২২ রকিং পোলাপাইন প্রত্তয় হিরণ, মাখনুন সুলতানা মহিমা রায়হান খান, রাশেদ এমরান, আহসান হাবিব নিলয়, তানভীর নিলয়, এস এম সামিউল আলম, অনামিকা ঐশী, তৌফিকুল হাসান নিহাল, আয়েশা সালমা মুক্তি তানজিম হাসান অনিক, নিপুণ আহমেদ মাবরুর রশিদ বান্নাহ
  1. আমাদের বাবু ভাই  আনন্দ বিনোদন  ২০১৯-০৭-২৫ তারিখেমূল থেকে আর্কাইভ করা সংগ্রহের তারিখ ২০১৯০৭২৫
  2. হোম বিনোদন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ পেলেন যারা অনলাইন ডেস্ক  ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:৩৯ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ পেলেন যারা ২০২১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্য থেকে ২৭টি ক্যাটাগরিতে এবছর ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হবে। সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চূড়ান্ত তালিকার অনুমোদন দিয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য ২০২১ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ২১টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ১৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৭টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ৪৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল। যার মধ্য থেকে জয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। এবারের তালিকায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছেন- সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে যৌথভাবে- আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য) পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এবার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র যৌথভাবে- মাতিয়া বানু শুকু (লাল মোরগের ঝুঁটি) ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক-রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে-এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে- শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্রে- মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে- প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী- আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)। শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক- সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ গায়ক- কে এম আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা- চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার- প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ সুরকার-সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার-রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)। শ্রেষ্ঠ সম্পাদক-সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক-শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক দলগত-সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)। শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান দলগত-মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র-আকা রেজা গালিব (ধর), শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকার- কাওসার চৌধুরী (বধ্যভূমিতে একদিন)। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য গত ১৬ আগস্ট তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য ২০২১ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ২১টি পূর্ণদের্ঘ্য, ১৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৭টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ৪৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছ।
  3. ওটিটি সমালোচক পুরস্কার পেলেন যাঁরা By বিনোদন প্রতিবেদক May 28, 2022 at 10:13 AM আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দেওয়ার পর দেওয়া হয় সমালোচক পুরস্কার। সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্রে সেরা চিত্রনাট্যকার সমালোচক পুরস্কার পেয়েছেন মারুফ হোসেন। সীমিতদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্রে সেরা নির্দেশক কিসলু গোলাম হায়দার। সীমিত দৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্রে সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রী হয়েছেন মনোজ প্রামাণিক ও তাসনিয়া ফারিণ। চরকির অ্যান্থলজি সিরিজ ‘জাগো বাহে’র ‘বাংকার বয়’–এর জন্য জুরিবোর্ডের বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন পরিচালক সুকর্ণ শাহেদ। ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ চলচ্চিত্রে ফজলুর রহমান বাবু ও তমা মির্জা’খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ চলচ্চিত্রে ফজলুর রহমান বাবু ও তমা মির্জা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে সেরা পরিচালক (সমালোচক) হয়েছেন এন রাশেদ চৌধুরী (চন্দ্রাবতী কথা)। চরকির আলোচিত চলচ্চিত্র ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’র জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। গত বছরের আলোচিত ছবি ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর জন্য সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েই সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বাঁধন। সমালোচকদের বিচারে সেরা চলচ্চিত্র হয়েছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। ওয়েব সিরিজ শাখায় ‘মহানগর’–এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন আশফাক নিপুন। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’–এর দৃশ্য’রেহানা মরিয়ম

নূর’–এর দৃশ্য”

 

তিনটি সুখবর দিল ‘নোনা জলের কাব্য’ By বিনোদন ডেস্ক October 10, 2021 at 10:58 PM ‘নোনা জলের কাব্য’ ছবির দৃশ্য’নোনা জলের কাব্য’ ছবির দৃশ্য ‘হাওয়াই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, ‘সাও পাওলো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ ও জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে দেখানো হবে ‘নোনা জলের কাব্য’। ছবির তরুণ নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নিজেই সুখবরগুলো দিলেন। সুমিত বলেন, ‘এর আগে ৬৪তম বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে “অফিশিয়াল সিলেকশন”, বুসান, সিয়াটল, গোটেবর্গসহ বেশ কিছু বড় ফেস্টিভ্যালে আমাদের সিনেমাটি অংশ নিয়েছে। এবার যোগ হলো আরও দুটি উৎসব। এটা আমাদের জন্য অনেক সম্মানের। তার চেয়ে বড় কথা, সিনেমাটির জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন থেকে ডাক পাওয়া। আমি খুশি আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, যাদের কথা শোনার কেউ নেই, সিনেমাটির মাধ্যমে তাদের কথা, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা বিশ্বের নানা প্রান্তের নেতারা শুনতে পাবেন।’ রেজওয়ান শাহরিয়ার জানান, আসছে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘নোনা জলের কাব্য’। জলবায়ু পরিবর্তনকে কেন্দ্র করেই সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। অক্টোবরের শুরুতে এই সুখবর পেয়েছেন নির্মাতা। জলবায়ু সম্মেলনের সময় আইম্যাক্স থিয়েটারে ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ছবিটি প্রদর্শিত হবে। এর আগে ২৯ অক্টোবর একই ভেন্যুতে জাতিসংঘের ইয়ুথ লিডার কনফারেন্সে সিনেমাটির প্রদর্শনী হবে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা বিশ্বনেতারা সিনেমাটি দেখবেন। এখানে সারা বিশ্বের ১৫টি সিনেমা প্রদর্শনী হবে। সিনেমা জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে প্রদর্শন প্রসঙ্গে সুমিত বলেন, ‘যাঁরা শিল্পী, যাঁরা বিজ্ঞানী, যাঁরা সংগীতজ্ঞ, তাঁরা কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দেখছেন, এটা বোঝার জন্যই এই আয়োজন। কারণ, তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করেন। এখানে সিনেমাটি দেখানোর জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। তাঁরা আমাদের সিলেক্টেড করেছেন।’ সুমিত জানান, ৪১তম ‘হাওয়াই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ থেকে আজ সিনেমাটি মনোনয়নের খবর পেয়েছেন। উৎসবের ‘গ্রিন স্ক্রিন’ বিভাগে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। ফেস্টিভ্যাল সাইটে গিয়ে দেখা যায়, ১৪ নভেম্বর উৎসবের শেষ দিন বেলা একটায় সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এই উৎসব। ‘নোনা জলের কাব্য’ এই বছর নভেম্বরের শেষের দিকে মুক্তির কথা রয়েছে’নোনা জলের কাব্য’ এই বছর নভেম্বরের শেষের দিকে মুক্তির কথা রয়েছে এ ছাড়া ৪৫তম ‘সাও পাওলো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’–এ ‘নিউ ডিরেক্টর কম্পিটিশনে’ বিভাগে জুরি পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করবে ‘নোনা জলের কাব্য’। ২১ অক্টোবর শুরু হয়ে এই উৎসব চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সুমিত এই সুখবর পেয়েছেন ৯ অক্টোবর। ‘নোনা জলের কাব্য’ এই বছর নভেম্বরের শেষের দিকে মুক্তির কথা রয়েছে। নির্মাতা বললেন, ২৩ অক্টোবর তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ জানাবেন। এই ডকুফিকশনটিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, অশোক ব্যাপারী, আমিনুর রহমান প্রমুখ।

বিঃদ্রঃ ঃ-আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তাহলে লাইক,কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যোগাবেন।এবং আরো নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্ট করে নিজের জানার ব্যকুলতাকে আরো বেগবান করবেন ধন্যবাদ ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *