বিদ্যা সিনহা সাহা মীম জীবনী

বিদ্যা সিনহা সাহা মীম জীবনী, বয়স, শিক্ষা, উচ্চতা ও ওজন, সিনেমা, দাম্পত্য জীবন, পেশা-Bidya Sinha Mim Biography

আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব, তাহলো বিশিষ্ট মডেল লাক্সসুন্দরী বিদ্যা সিনহা মিম সম্পর্কে। ইতিমধ্যে আপনারা সবাই অবগত আছেন যে। এই তারকার রয়েছে বিশ্বজোড়া নামও সুক্ষতি,দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই গুনি মডেল তারকা সম্পর্কে ভক্তদের জানা শোনার শেষ নেই।আপনারা অনেকেই এই গুণী শিল্পী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ও উৎসুক।

 বিদ্যা সিনহা সাহা মীমর জন্ম পরিচিতি

এই গুণী শিল্পী ১০ নভেম্বর ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাজশাহী জেলাতে । উত্তরবঙ্গের শিল্প বিপ্লবের সুতিকাগার বলা হয় বৃহত্তর রাজশাহীকে। এই জেলা তার নিজস্ব নাম ও যশ ক্ষ্যাতি কে কাজে লাগিয়ে বৃহত্তর বাংলাদেশে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে প্রবল খরস্রতা নদী পদ্মা।যার অববাহিকায় হাজারো কৃষিজীবি প্রাণ স্বপ্ন দেখে এক নতুন দিনের।

নাম বিদ্যা সিনহা মীম
জন্ম ১০ নভেম্বর
ঠাকুরপাড়া, কুমিল্লা, বাংলাদেশ
উচ্চতা ৫ ফুট ৮.৫ ইঞ্চি (১.৭৪ মিটার)
দাম্পত্য সঙ্গী সনি পোদ্দার (বি. ২০২২)
পিতামাতা বীরেন্দ্র নাথ সাহা (পিতা)
ছবি সাহা (মাতা)
পেশা মডেল, অভিনেত্রী
কর্মজীবন ২০০৭–বর্তমান
আত্মীয় প্রজ্ঞা সিনহা সাহা মমি (বোন)
শিক্ষা স্নাতক (বাংলা সাহিত্য) এবং স্নাতকোত্তর (বাংলা সাহিত্য)

বিদ্যা সিনহা সাহা মীম এর শিক্ষা জীবন

বিদ্যা সিনহা সাহা মীমর ছাত্র জীবনের সুতিকাগার বলা হয় তার পরিবারকে। কারণ বাল্য জীবনের প্রথাগত শিক্ষার উন্মেষ ঘটে তার পরিবার থেকেই। তিনি সফলতার সহিত মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে, সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটি থেকে বাংলা সাহিত্যে বিভাগ থেকে অনর্স মাস্টার্স শেষ করেন।
তিনি বাল্যকাল থেকে খুব বুদ্ধিমতি ও চালাক স্বভাবের মেয়ে ছিলেন।
বিদ্যা সিনহা সাহা মীম ১৯৯২ সালের ১০ নভেম্বর রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় বিরেন্দ্র নাথ সাহা ও ছবি সাহার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার চাকরিসূত্রে ভোলা ও কুমিল্লায় ছিলেন বেশ কিছু সময়। তার ছোট বোন আছে, নাম- প্রজ্ঞা সিনহা সাহা মমি।

বিদ্যা সিনহা সাহা মীম তার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে, পরে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ-এ ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিদ্যা সিনহা সাহা মীম পেশা ও কর্মজীবন

ছোটবেলা থেকেই তিনি সাংস্কৃতিমনা পরিবেশ থেকেই বেড়ে উঠেছেন। এমনকি তিনি রাজশাহী শহরের বিভিন্ন জায়গায় আনাচে-কানাচে তার নিত্য পরিবেশন করতেন। এভাবেই তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনে পরিচিত হন। এমনকি তিনি 16 ডিসেম্বর ২৬ শে মার্চ ২১শে ফেব্রুয়ারি তিনি স্কুল ফাংশন গুলোতে বরাবরের তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। একপর্যায়ে তিনি ২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি পুরো দেশব্যাপী তার সুক্ষ্যাতির জানান দেন।

হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত আমার আছে জল চলচ্চিত্রে অসাধারন অভিনয় করে মীম সবার নজরে আসেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন। পরের বছর ২০০৯ সালে মীম অভিনয় করেন জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত আমার প্রাণের প্রিয়া ছায়াছবিতে। যাতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শাকিব খান।এই ছায়াছবির জন্য তিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। এর সাথে সাথে মীম ছোট পর্দায় বেশ কিছু নাটকেও নিয়মিত অভিনয় করেন।

২০১৪ সালে পহেলা বৈশাখে খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত জোনাকির আলো মুক্তি পায়। ত্রিভুজ প্রেমের গল্পে তার বিপরীতে অভিনয় করেন মামনুন হাসান ইমন ও কল্যাণ কোরাইয়া।ছায়াছবিটি ব্যবসায়িক সফলতার মুখ না দেখলেও তার গ্ল্যামার প্রশংসিত হয়। এই চলচ্চিত্রে সমাজকর্মী ‘কবিতা’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মৌসুমীর সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর মুক্তি পায় তার পরবর্তী ছায়াছবি মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত তারকাঁটা।এতে তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেন আরিফিন শুভ ও মৌসুমী।ছবিটি সম্পর্কে পরবর্তীকালে মীম বলেন যে, “এই ছবিটি তার না করাই ভালো ছিল” এবং কারণ হিসেবে বলেন, “এই ছবির গল্প শুনেছি একরকম, শুটিং শেষ করে দেখেছি আরেকরকম।

২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পায় তানিয়া আহমেদের পরিচালনায় ভালোবাসা এমনই হয়। প্রণয়ধর্মী-হাস্যরসাত্মক এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ইরফান সাজ্জাদ। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবসে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয় নাট্য নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নার তোমার পিছু পিছু। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন তাহসান রহমান খান। ২০১৮ সালে তাকে মনতাজুর রহমান আকবরের দুলাভাই জিন্দাবাদ, সৈকত নাসিরের পাষাণ ও সুলতান দ্য সেভিয়ার চলচ্চিত্রে দেখা যায়। এছাড়া নির্মাণাধীন রয়েছে তারেক শিকদা

বিদ্যা সিনহা সাহা মীম বয়স ও উচ্চতা

তার বয়স ও গড় উচ্চতার মানভেদে তিনি অন্য সকলকে ছাড়িয়ে এক ও অবিচ্ছেদ্য। তিনি ৫ ফুট ৮.৫ ইঞ্চি যা তার সুঠম দেহের অস্তিত্বেকেই জানান দেয়।
তার পিতার নাম ছিল বীরেন্দ্র সাহা ও মাতা ছিলেন ছবি সাহা। তাদের একান্তই পরম স্নেহসপদ মেয়ে ছিলেন মিম।তারা পরম যত্ন ও মমতার সাথে তাকে লালনপালন করেন।

বিদ্যা সিনহা সাহা মীম দাম্পত্য জীবন

জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি সংসার জীবনের বিকল্প নেই! তাই তো সংসার ত্যাগী মানুষ হলো সন্ন্যাসীর ন্যায়।দৈনন্দিন কর্ম সম্পাদন করতে গেলে একজন সাথী সঙ্গীর মূল্য গুরুত্বপূর্ন। তাইতো দুনিয়ার প্রতিটি মানুষ বিবাহ বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে তাদের জীবনের পূর্ণতা দেয়। কোন এক জনৈক কবি বলেছেন, দুনিয়ার যা কিছু চিরকল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। মানুষ প্রাকৃতিক জীব,একা সে বাঁচতে পারে না, বেঁচে থাকতে হলে তার সঙ্গীর প্রয়োজন হয়।কারণ জীবনে সফলতা বয়ে আনতে গেলে একজন সঠিক জীবন সঙ্গিনীর বিকল্প নেই,কারণ সঠিক পরিচর্যায় পরে তার ব্যক্তির স্বতন্ত্রকে রক্ষা করতে। আর এই সঠিক পরিচর্যা কখনো একা একা হয় না, যেমন উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে, একটি গাছ তক্ষণেই ফলবন্তও তরতাজা হতে পারে যদি সঠিকভাবে তাকে নার্সিং ও হয় বা পরিচর্যা করা হয়। এক্ষেত্রে যেমন পরোক্ষভাবে একজন মানুষের প্রয়োজ, হয় ঠিক তেমনি একটি মানুষ বা একটি জীবনকে প্রাণবন্ত ও সতেজ রাখতে গেলে একজন সঙ্গিনীর বিকল্প নেই। জীবন রোমাঞ্চ ও পরিপুষ্ট হাওয়ার একমদ সঠিক মাধ্যম হলো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, বিবাহ ছাড়া নিছক জীবন কল্পনাতীত ।

করা যায়না। তারই ধারাবাকতায় বিদ্যা সিনহা মিম বিবাহ ও দাম্পত্য জীবনকে বেঁচে নেন।তিনি ২০২২ সালে সনি পোদ্দার নামক জনৈক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।এবং তিনি ইতিবাচক জীবনের পরিসমাপ্তির ঘটানোর মাধ্যমে তার সংসার জীবনের সূচনার ধারাকে গতিশীল করেন।

*বিঃদ্রঃ ঃ-আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তাহলে লাইক,কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যোগাবেন।এবং আরো নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্ট করে নিজের জানার ব্যকুলতাকে আরো বেগবান করবেন ধন্যবাদ ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *