বিপাশা হায়াতের জীবনী

বিপাশা হায়াতের বয়স,ওজন,উচ্চতা, পারিবারিক ও অভিনয় জীবন এবং ক্যারিয়ার

প্রতিভা বিষয়টি অনেক মানুষের মাঝেই থাকে, তবে খুব কম মানুষই তার প্রতিভার সঠিক পরিচর্যা করতে পারে। সব প্রতিভাবান মানুষই জীবনে সফলতা পান না। আবার সফলতা পাবার জন্য শুধু প্রতিভা থাকলেই হয় না, সেটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে জানতে হয়। আজ আমরা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এমন একজনের গল্প শুনব, যিনি তার ক্যারিয়ারের নানা সময়ে শিল্পের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়েছেন এবং মোটামুটি যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানেই সোনা ফলেছে।প্রতিভাবান এই মানুষটার নাম বিপাশা হায়াত। চলুন ঘুরে আসি তার বর্ণিল জীবনের নানা অধ্যায় থেকে।

বিপাশা হায়াত (জন্ম: ২৩ মার্চ, ১৯৭১)  একজন বাংলাদেশি অভিনেত্রী তিনি টিভি অভিনেতা আবুল হায়াতের কন্যা। তাঁর ছোট বোন নাতাশা হায়াতও একজন টিভি অভিনেত্রী। বিপাশা হায়াত জনপ্রিয় অভিনেতা নাট্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক তৌকির আহমেদের স্ত্রী  এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।

অভিনয় জীবন

 

নব্বই এর দশকে জনপ্রিয় অনেক টিভি নাটকে অভিনয়ই তাকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে । মঞ্চনাটকেও তিনি সমানভাবে সফল ছিলেন, কিন্তু বিয়ের পর মঞ্চনাটকে অভিনয় ছেড়ে দেন ।

চলচ্চিত্র

 

তিনি দুটি মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন – আগুনের পরশমণি ও জয়যাত্রা । তার প্রথম ছবি আগুনের পরশমণি পরিচালনা করেছেন হুমায়ুন আহমেদ । এ ছবিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা শহরে আটকে পড়া এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন । চরিত্রের নাম রাত্রি, যিনি এক গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম (বদি) (আসাদুজ্জামান নূর অভিনীত) ভালোবেসে ফেলেন । বদিউল আলম বৃষ্টির সময় একরাতে বাড়িতে আশ্রয়ের জন্যে আসেন । বদিউল আলম নামের সেই গেরিলা যোদ্ধার প্রতি রাত্রির প্রেম যুদ্ধের সময় গেরিলা যোদ্ধাদের প্রতি সাধারণ মানুষের মমতা ও সমর্থনের প্রতিফলন । তৌকির আহমেদ পরিচালিত জয়যাত্রা চলচ্চিত্রে তার চরিত্র ভিন্ন ধরনের । এ ছবিতে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পলায়নরত এক মধ্যবয়ষ্কা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে তার সন্তানকে হারিয়ে ফেলে । দুটি চলচ্চিত্রেই তার অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয় । বিপাশা হায়াত আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ।

চিত্রশিল্প

 

বিপাশা হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় স্নাতক পাশ করেন ।তিনি তার আঁকা ছবি প্রদর্শন করেন না বললেই চলে । ২০০৯ সালের মে মাসে তিনি তার আঁকা ছবি এসিড আক্রান্ত নারীদের সাহায্যার্থে আয়োজিত প্রদর্শনীতে দান করেন ।

বিপাশা হায়াত
জন্ম ২৩ মার্চ ১৯৭১ (বয়স ৫২)
জাতীয়তা বাংলাদেশি
শিক্ষা চারুকলায় স্নাতকোত্তর
মাতৃশিক্ষায়তন চারুকলা ইনস্টিটিউট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
পেশা অভিনয়, সংলাপ রচনা, চিত্রকলা
দাম্পত্য সঙ্গী তৌকির আহমেদ (বি. ১৯৯৯)
সন্তান
পিতামাতা আবুল হায়াত (বাবা)
মাহফুজা খাতুন শিরিন (মা)
আত্মীয় নাতাশা হায়াত (বোন)
শাহেদ শরীফ খান (ভগ্নীপতি)
পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী পুরস্কার

বিপাশা হায়াতের পারিবারি জীবন

 

 

সময়টা ১৯৮৩ সাল। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে বিটিভিতে ‘খোলা দুয়ার’ শীর্ষক একটি নাটক প্রচারিত হবে। নাটকের রচয়িতা মামুনুর রশীদ, প্রযোজক ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেই নাটকে আবুল হায়াতের মেয়ের চরিত্রে ১২-১৩ বছরের একজনকে প্রয়োজন। হাতের কাছে পাওয়া গেল যে মেয়েকে তিনি সত্যিই আবুল হায়াতেরই মেয়ে। বিপাশা হায়াত।আবুল হায়াত ভাবতেন, তার মেয়ে হয়তো তার মতো ইঞ্জিনিয়ার হবেন। হয়তো সেটাই হতেন। কিন্তু ভাগ্য তার অন্যভাবে লেখা ছিল। সেজন্য বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ওয়েটিং লিস্টে থাকার পর লিস্টে তার ঠিক আগেরজন সুযোগ পেলেও তিনি আর সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে তিনি ইডেন কলেজে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখানে তিন মাস পড়াশোনা করার পর এক পর্যায়ে আর্ট কলেজে পরীক্ষা দেন। সেখানে প্রথম হন বিপাশা। শুরু হয় তার শিল্পী হয়ে ওঠার জীবন।বিপাশা সিনেমা করার প্রস্তাব পেয়েছেন অনেক আগেই। এই কথা হয়তো অনেকেই জানেন যে, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার নায়ক চরিত্রের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন তৌকির আহমেদ। কিন্তু এটি হয়তো অনেকেই জানেন না যে, সেই সিনেমার নায়িকার চরিত্রের জন্য প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিপাশা হায়াতকে। কিন্তু প্রথাগত চলচ্চিত্রে তিনি আগ্রহী ছিলেন না। এমনকি মুম্বাই থেকেও তাকে সিনেমাতে নেবার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু বিপাশা হায়াতের চরিত্র পছন্দ না হওয়া কিংবা অনাগ্রহের জন্য বিষয়টি আর এগোয়নি। পরবর্তীতে বিপাশা হায়াত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথম চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’। এই চলচ্চিত্রে তিনি ‘রাত্রি’ নামক এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যার পরিবার যুদ্ধের সময় ঢাকা শহরের একটি বাসায় আটকে যায়। যুদ্ধের সময় গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বদি চরিত্রের আসাদুজ্জামান নূর তাদের বাসায় আসে, সেখান থেকে এগোয় পরিবারটির কাহিনী। এই সিনেমার জন্য ১৯৯৪ সালে বিপাশা হায়াত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে।

নিজের পুরষ্কারজয়ী ছবির সামনে

 

ছোটবেলা থেকেই বিপাশার আগ্রহ ছিল সংস্কৃতি জগতের প্রতি। মঞ্চে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় দলে অভিনয় শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। একটা পর্যায়ে অভিনয়ের পাশাপাশি সেট ডিজাইনার হিসাবেও ছোটখাটো কাজ করতে থাকেন বিপাশা। এরই মধ্যে ১৯৮৯ সালে বিটিভিতে অভিনয় শিল্পী হিসেবে নিবন্ধিত হন তিনি। তবে বিপাশা দর্শকদের নজরে পড়েন হুমায়ূন আহমেদের ‘অয়োময়’ নাটকে ‘লবঙ্গ’ চরিত্রে অভিনয় করে।

বিপাশা হায়াতের ভাষায়,

অয়োময় ছিল টিভি নাটকের একটি মাইলফলক। এই নাটকে লবঙ্গ মুখ্য চরিত্র ছিল তা নয়, আর দশটা চরিত্রের মধ্যে একটি। নাটকের সব ক’টি চরিত্রই জাগতিক ভাবনা নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু লবঙ্গ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। স্বপ্নের মধ্যে বাস করে। খুব রোমান্টিক। এই ব্যাপারগুলো অন্য সব চরিত্র থেকে লবঙ্গকে আলাদা করেছিল। তার মধ্যে যে রোমান্টিকতা ছিল, তা ছুঁয়ে গিয়েছিল ওই সময়ের দর্শকের হৃদয়। আমার অভিনয়জীবনের একেবারে গোড়ার দিকের এই একটি মাত্র চরিত্র আমাকে দর্শকের সামনে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। দর্শকের হৃদয়ে আমার অবস্থান দৃঢ় হয়। লবঙ্গ বদলে দিয়েছিল আমাকে। এরপরেই ধীরে ধীরে শুরু হয় তার সফলতার পথে এগিয়ে চলা। টিভি অভিনেত্রী হিসাবে বিপাশা তার প্রজন্মের প্রথম সারিতেই ছিলেন। ‘৯০ এর দশকটা বিপাশা-শমী-মিমিতে বুঁদ ছিল বাংলাদেশের টিভি দর্শক। বিখ্যাত নাটকগুলোর মাঝে ‘রূপনগর’, ‘হারজিত’, ‘একজন অপরাধিনী’, ‘নাইওরি’, ‘ছোট ছোট ঢেউ’, ‘প্রত্যাশা’, ‘দোলা’, ‘হাসুলি’ ইত্যদি উল্লেখযোগ্য। সেই সময়টাতে ‘তৌকির-বিপাশা’ এবং ‘জাহিদ হাসান-বিপাশা’ জুটি খুবই জনপ্রিয় ছিল দর্শকদের কাছে।বাংলাদেশের প্রথম প্যাকেজ নাটকের নায়িকা ছিলেন বিপাশা হায়াত। কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ অবলম্বনে সেই নাটকের নাম ছিল ‘প্রাচীর পেরিয়ে’। আজকের সময়ে এসে অভিনয় কম করলেও, বিশেষ বিশেষ দিবসের কিছু নাটকে তার উপস্থিতি আবারও দর্শকদের যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই পুরনো সময়ে। অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তাকে।

আগুনের পরশমণি ছবিতে

 

পরবর্তীতে বিপাশা তৌকির আহমেদ পরিচালিত জয়যাত্রা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই সিনেমাটিও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ছিল। এখানে তিনি এক মধ্যবয়স্ক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেন, যেখানে পাকিস্তানী হানাদারদের আক্রমণে পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন। দুটো সিনেমাতেই বিপাশা দর্শক আর সমালোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন দারুণভাবে, যা খুব কম অভিনয় শিল্পীর পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। বিপাশা হায়াত ১৯৯৮ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এমএফএ পাশ করেন। অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা থাকলেও আঁকাআঁকিটা তিনি কখনো একেবারে ছেড়ে দেননি। ১৯৯৬ সালে গ্যালারি টোনে তিনি মিনিয়েচার পেইন্টিং এক্সিবিশন করেন। ১৯৯৮ সালে গ্রুপ এক্সিবিশন করেন হোটেল সোনারগাঁওয়ের ডিভাইন আর্ট গ্যালারিতে। ২০০১ সালে জয়নুল গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী করেন ৯ জন তরুণ শিল্পীর সাথে। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতেও অংশ নেন তিনি। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও অরনীর আয়োজনে ২০১০ ও ২০১১ সালের দুটি আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেন বিপাশা। পরবর্তীতে বিপাশা হায়াত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথম চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’। এই চলচ্চিত্রে তিনি ‘রাত্রি’ নামক এক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যার পরিবার যুদ্ধের সময় ঢাকা শহরের একটি বাসায় আটকে যায়। যুদ্ধের সময় গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বদি চরিত্রের আসাদুজ্জামান নূর তাদের বাসায় আসে, সেখান থেকে এগোয় পরিবারটির কাহিনী। এই সিনেমার জন্য ১৯৯৪ সালে বিপাশা হায়াত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে।

নিজের ভূবনে বিপাশা

 

বিপাশা হায়াতের নিজের ভাষায়, তিনি আঁকার কাজটি করেন রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে তখন। আঁকাআঁকিই নিজের আবেগের জায়গা বলে ভাবেন তিনি। ২০০৯ সালের মে মাসে তিনি এসিড আক্রান্ত নারীদের সাহায্যার্থে আয়োজিত প্রদর্শনীতে নিজের আঁকা ছবি দান করেন। ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত প্রদর্শনীতে সম্মাননা লাভ করেন। সেখানে ৫৪টি দেশের ২৯৮ জন চিত্রশিল্পী তাদের ৪৩৪টি ছবি প্রদর্শন করেছিলেন। বইমেলায় প্রচ্ছদ শিল্পী হিসেবেও সরব উপস্থিতি রয়েছে বিপাশার।


কান উৎসবে বিপাশা হায়াত

গায়িকা বিপাশা হায়াতকে হয়তো মানুষ খুব একটা চেনে না। অনেকেই জানেন না, বিপাশা হায়াতের সংস্কৃতি চর্চার শুরুটা হয়েছিল মূলত গান দিয়ে। ওস্তাদ খালিদ হোসেন, আখতার সাদমানী কিংবা মিতা হকের মতো বরেণ্য সংগীতজ্ঞদের কাছে তার গানের হাতেখড়ি। কিন্তু একটা সময় এসে গানের ভুবনে তাকে আর সেভাবে পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত নিয়মিত হয়েছিলেন অভিনয়েই।

বিপাশা হায়াতের নিজের ভাষায়,

“গানের জন্য আমি না, আমার জন্য গান। গানকে কখনো আমলে নিয়ে আমি সাধনা করিনি যতটা না অভিনয় আর আঁকাআঁকি নিয়ে সাধনা করেছি। তবে এটা সত্য আমি প্রচুর গান শুনি।”

তবে বিটিভির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময় তাকে গাইতে দেখা গিয়েছে। হানিফ সংকেতের ইত্যাদিতে গেয়েছিলেন ‘আকাশ এত মেঘলা যেও নাকো একলা’, আব্দুন নূর তুষারের শুভেচ্ছাতে গেয়েছিলেন ‘নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক’ এবং বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’। সর্বশেষ বছর দুই আগে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিশেষ বৈশাখী সঙ্গীতানুষ্ঠানে গেয়েছেন ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া ‘আজি বাহাল করিয়া বাজান গো দোতরা সুন্দরী কমলা নাচে’ গানটি। বিপাশা হায়াতের মনে টিভি নাটক লেখার ভাবনাটা আসে অনেক আগেই। ১৯৯৭ সালে তিনি ‘শুধু তোমাকে জানি’ নামের একটি সিরিয়াল লেখা শুরু করেন। তবে ইচ্ছে করেই তিনি তার নাম প্রকাশ করেননি তখন। ছদ্মনাম ব্যবহার করেছিলেন, যাতে করে শুধুমাত্র তার নামের কারণে নাটকটি জনপ্রিয়তা না পায়। কিন্তু টেলিভিশনে প্রচারিত হবার পর যখন সিরিয়ালটি তুমুল জনপ্রিয় হয়, তখন বিপাশা হায়াত তার লেখক সত্তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন। ‘ভালোবাসা জেগে থাকে প্রাণে’, ‘ডাইনোসর’, ‘মরা জোছনা’, ‘মধ্যরাত ও ঝরা পাতার গল্প’, ‘ছায়া’, ‘এ কী খেলা’- এরকম প্রায় অর্ধশত জনপ্রিয় নাটকের রচয়িতা বিপাশা হায়াত।

বিঃদ্রঃ ঃ-আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তাহলে লাইক,কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যোগাবেন।এবং আরো নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্ট করে নিজের জানার ব্যকুলতাকে আরো বেগবান করবেন ধন্যবাদ ।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *