প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি আশা করি এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা অবগত থাকলেও এর ভাইবতা সম্পর্কে আপনাদের কোন ধারনা নেই। আমরা মূলত আপনাদের সমাজ সচেতনতার মাধ্যমে জাতীয় সমাজের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেন সেই সম্পর্কে কিছু আলোচনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনারা সবাই অবগত আছেন যে বাংলাদেশের মাদকের ভয়াবহতা যে পরিমাণ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা যুব সমাজকে নষ্ট করে দিয়েছে তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে অতি স্ট্যাটাস মানি বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ তাদের মতামত যেগুলো পেশ করেছে সেগুলো আপনার সামনে উপস্থাপন করব। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি দ্বারা আপনি এবং আপনার পরিবার এবং সহদেব যাতে সমাজতন্ত্র নামে এবং সচেতন হওয়ার পরে আপনারা এর বিরুদ্ধে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।
আমরা অনেকেই জানি সমাজ নষ্ট ভোর মূল কারণ হচ্ছে মাদকদ্রব্য বা নেশা সমাজের অধিকাংশ মানুষের এমনকি তরুণ যুবক বৃদ্ধ মহিলা সহিংসার মধ্যে আসক্ত হয়ে গেছে এর কোরাল গ্রাস যেমন ব্যক্তির জীবন বিপন্ন করে তুলছে ঠিক তেমনি এর করার ছোবলে ব্যক্তি তার পারিবারিক রাষ্ট্রীয় এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিটা সচেতন নাগরিকের পক্ষে মাদকের ভয়াবহুল সম্পর্কে আলোচনা করা দরকার এবং সমগ্র দেশবাসীর মধ্যে এই ভাই সম্পর্কে জ্ঞান দান করা দরকার। আমাদের সচেতন যারা আছে তারা অনেকেই মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচার্য তারা রাজনৈতিক চাপে বলতে চায় না এর সত্য ঘটনা কি। তাই আপনারা আপনাদের পরিবার এবং প্রয়োজনকে রক্ষা করতে চাইলে এবং আপনার পরিবারের শিশুটিকে বাঁচাতে চাইলে অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চালু করেছে। যদিও এই নীতি তো আখ্যা না করে অধিকাংশ যুব সমাজ মাদকের ভয়াবহুলে আক্রান্ত হয়ে গেছে এবং তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে গেছে এবং তারা শেষ জাতি এবং সমাজের কাছে আজকে একটি খারাপ মানুষের পরিচিতি পেয়েছে।
মাদক এমনই একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য যা ব্যক্তির মস্তিষ্ক নষ্ট করে দেয় এবং ব্যক্তি তার স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা থেকে অনেক দূরে থাকে। একটি যুবক যখন মাদকের নেশা আক্রান্ত হয়ে যায় তখন সে তার দিগবিদিক গান হারিয়ে ফেলে। এবং সে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না। সে মাতাল অবস্থায় অনেক সময় মানুষকে খুন চুরি রাহাজানির মতো ঘটনা করতে পারে নিজেই চায় নিজে জানিয়ে সংকোচে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত পরিবারের বাচ্চাদের কে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া এবং মাদক থেকে দূরে থাকা। এবং সমাজের প্রকৃত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। একটি মানুষ যখন নেশা গ্রহণ করে তখন তার মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং নেশা তার সূর্য প্রভাব বিস্তার করে যার কারনে সে সুস্থ মস্তিষ্ক থেকে অনেক দূরে থাকে ও সে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে। একটি মানুষ মাদক জীবনের পরে তার কর্মদক্ষতা হারায় ফেলি তার কর্মস্থলীয় সংকুচিত হয়ে যায়। এবং সে স্বাভাবিকভাবে কোন কিছু ভাবতে চায় না তার মস্তিষ্ক বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়। একটা সময় গিয়ে দেখা যায় সে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো মদ গাঁজা ডাল হিরোইন ইয়াবা সহ আরো অনেক কিছু। দাঁড় করান ক্লাসে পুরো জাতি আজ বিভ্রান্তের মধ্যে পড়ে গেছে।
মাদকের এই করালগাসে দিনদিন যুব সমাজ অধঃপতনের দিকে নামতেছে। মাদকের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন আমাদের গড়ে তুলতে হবে কারণ মাদক হলো একটা ঘৃণিত কাজ। যদিও বাংলাদেশ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী এবং মাদকের বিরুদ্ধে তারা আইন প্রয়োগ করেছে। যে মাধ খায় এবং যে মাদক বিক্রি করে উভয়ের ক্ষেত্রে সরকার আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।অবশ্যই জনসচেতনতার মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সবাইকে না বলতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মাদক নিয়ে উক্তি
বর্তমান সময়ে মাদক একটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যার কপালে পড়ে হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে অবশ্যই সচেতন ব্যক্তিবর্গদেরকে এই ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। আমরা আপনাদের সামনে আজকে মাদক নিয়ে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি ও বিখ্যাত ব্যক্তিগণের ভাষ্যও তুলে ধরব যা অবশ্যই মাদক বিরোধী আন্দোলনে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তাই আপনারা যারা রয়েছেন তারা অবশ্যই আপনাদের পরিবারে খোঁজ রাখুন আপনাদের বাচ্চাকাচ্চার খোঁজ রাখুন। একটি মাদক জীবন কারি ব্যক্তিই পারে তার পরিবারকে ধ্বংস করতে তার কারণেই পুরো পরিবারটা নিয়ে শেষ হয়ে যায় এবং সে তারা আহার ও পায়না তাই আপনাদের সামনে আরো মাদক নিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিগণদের উক্তি তুলে ধরতেছি –
সকল প্রকার নেশাই খারাপ হোক না তা মাদকের নেশা কিংবা নারীবাদী আদর্শের।
— কার্ল গস্তাভ জং
সবচেয়ে বড় তিনটি নেশা হলো হিরোইন, শর্করা এবং মাস শেষের বেতন।
— নাসিম নিকোলাস তালেব
নেশা হলো এক মারাত্মক ব্যাধী যার ইতি টানতে হলে আপনাকে হাসপাতাল কিংবা জেলে যেতেও হতে পারে।
— রাসেল ব্রান্ড
নেশা হলো একটা পারিবারিক সমস্যা কেননা একজন নেশা করলেও পুরো পরিবারকেই তার মাশুল গুণতে হয়।
— শেলী লস।
মাদক নিয়ে স্ট্যাটাস
প্রিয় বন্ধুগণ আমরা আজকে আপনাদের সামনে যে বিষয়টি উপস্থাপন করছি তা হলো সমাজের সর্বনিকৃষ্ট এবং ঘৃণিত কাজ মাদক সম্পর্কে তথ্য জ্ঞান দেয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যাতে করে আপনার মাদকের করাল ভাবা সম্পর্কে জানতে পারেন এবং যিনি আপনার পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী আপনার ছেলে মেয়েটিকে শুরু করে সবাইকে এর মন্দ দিক সম্পর্কে অবহিত করা। প্রিয় বন্ধুগণ মাদক যে একটা জাতিকে নির্দেশ করে দিতে পারে এবং এই জাতির মন মস্তিষ্ক এবং উন্নতির পথকে রুদ্ধ করে দিতে পারে তা আপনার একটি প্রয়োজন এ গেছেন। মাদক সেবি মানুষের তারা কখনো কোনদিন উন্নতি করা সম্ভব নয় তারা তাদের পরিবার দেশ এবং সমাজের ক্ষতির পিছনে অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মাদক সুবিধার দ্বারায় এক প্রকার গোষ্ঠী রয়েছে তারা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতেছে। মাদক সেবী মানুষদের দিয়ে তারা খুন রাহাজানি চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে ছিনতাই চুরি ডাকাতি সবকিছু করতেছে এবং সমাজের যত খারাপ কাজ আছে তাদের দ্বারা সংগঠিত করাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত এই মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা এবং আন্দোলনকে সামনে রেখে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকারের রূপ রাখাকে বাস্তবায়ন করা। আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব মাদক সম্পর্কে বাছাইকৃত কিছু স্ট্যাটাস-
নেশা কোনো দর্শক নয় বরং এর কারণে পুরো পরিবারকেই কষ্টের সাথে খেলতে হয়।
— এডিক্টস টুডে
তোমার আগ্রহ তোমাকে তৈরি করে আর তোমার নেশা তোমাকে খেয়ে ফেলে।
— গাবর মাতে
সবচেয়ে বড় নেশা হলো ফেসবুক নামক মাদকের নেশা।
— সংগৃহীত
নেশা তোমাকে তোমার বাস্তবতা সম্পর্কে সন্দিহান এবং অন্ধ বানিয়ে ফেলে।
— ব্রেইনি রিডারস
ধূমপানের নেশা ছাড়া সত্যিই অনেক সহজ আমি এটা হাজার বার করেছি।
— মার্ক টোয়েন
মাদক নিয়ে কবিতা
সুপ্রিয় বন্ধুগণ আমরা আজকে আপনাদের মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা দিয়েছে যাতে করে আপনি এবং আপনার পরিবারকে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানাতে পারেন। এবং মাদক থেকে বেঁচে উঠতে হলে তাদেরকে কি কি করণীয় সেই বিষয়গুলো অবগত করতে পারেন। মাদক সেবী মানুষ যে কখনো সমাজ এবং জাতির উপকার করে না তা আপনার ইতিপূর্বে আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন তাই বেশি কথা না বাড়ি আজকে আপনাদের আমরা মাদক সম্পর্কে একটি কবিতা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব নিঃসন্দেহে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে-
– শ.ম. শহীদ
ভাতে করে জাত নষ্ট
প্রেমে নষ্ট কূল;
মাদক করে জীবন নষ্ট
ছিঁড়ে সুখের মূল।
মূল ছাড়া গাছ বাঁচেনা
বুঝতে সেটা হবে
সুখের পাখি ধরবে যদি
মাদক ছাড়ো তবে!
জীবনটা নয় ক্ষণ-কালের
সময় সেথায় ঢের
বাঁচতে হলে বাঁচার মতো
চাইনা নেশার জের!
মাদক নিয়ে স্লোগান
‘মাদককে না বলো’