মানবদেহ সম্পর্কে অজানা তথ্য -আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন

মানবদেহ সম্পর্কে অজানা তথ্য -আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন

 

সম্মানিত ভিজিটর আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আমার রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিন এ রহমানটি আপনারা সকলে ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত রহমতে সুস্থ আছি ভালো আছি। আমি আপনাদের জন্য দোয়া করব আপনারা যাতে সবসময় ভালো এবং হাসিখুশি এবং সুস্থ জীবন যাপন করেন। ঠিক তেমনি ভাবে আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সঠিক সরল পথে চলতে পারি এবং জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে।

তাহলে আর কথা না বলে চলুন আজকের প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক। আজকে আমরা যে বিষয়টা নিয়ে আলোকপাত করবো এবং আলোচনার দ্বারা মুক্ত করবো তাহলে মানুষও অতি মহামূল্যবান মানব দেহ সম্পর্কে সম্মুখ বিস্তারিত কিছু জ্ঞান যার দ্বারা কেন বানরা উপকৃত হবেন এবং এবং যারা এই সম্পর্কিত একদম অনভিজ্ঞ এবং এই সম্পর্কে কোন রিসার্চ নেই তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি দ্বারা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারবেন গঠন সম্পর্কিত বিস্তারিত সব ধারণা। মানুষের জীবনের এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল মানব দেহ আমরা যদি যান্ত্রিক মেশিনকে এর সাথে তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে যান্ত্রিক বাহনটি তার নানান যন্ত্রপাতির সাহায্যে পরিচালিত হয়ে থাকে ঠিক তেমনি আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে নানান  যন্ত্রপাতির তারা মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে পরিচালিত করেন এবং যার বদৌলতে আমরা আমাদের দেহকে পরিচালনা করতে পারি বা আল্লাহতালার অশেষ রহমতে তা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অযথা বিস্তারিত বর্ণনায় যাব না খুব সংক্ষিপ্তভাবে আমি আপনাদের মানব দেহ সম্পর্কিত কিছু পেশ করব পাশে থাকো এবং ধৈর্য্যের সহকারে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।

আপনাদের কি কখনো মনে প্রশ্ন জেগেছে বা এই ধারণা কখনো করেছেন যে আমাদের চোখের ওজন কতটুকু হতে পারে। জ্ঞানবান কিছু মানুষ হয়তো বা এই সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন কিন্তু আমরা যারা সাধারন তাদের আমাদের এই ধারণাই নেই। এবং আপনি কি আরো জানেন আমাদের পাঁচ আঙ্গুলের মাঝখান থেকে যে আঙ্গুলটি রয়েছে সে আঙ্গুলটির ওজন অনন্য চারটি আঙুলের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেশি তা কি আমরা কখনো খেয়াল করেছি। অবশ্যই আপনাদের জানতে হবে একটি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দৈনিক প্রতিদিন আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ২২ হাজার বার শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে থাকে। আজকাল আমাদের সমাজের অনেকেই দেখতে পাবেন যাদের ঘুমের কারণে শরীর স্বাস্থ্য তাদের শরীর স্বাস্থ্য সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। মানবদেহের অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ণ সুস্থ সবাইকে মানুষের জন্য ঘুম সেই ঘুমের ব্যাপারে আমরা অনেকেই উদাসীন। যেসব মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ব্রান্ড ক্ষমতা ৩০% কমে যায়  যা অনেক খারাপ একটা দিক। আমরা এই সম্পর্কে রিসার্চ বা ঘাটাঘাটি করি না এই ধরনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আমাদের এইসব বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে মানুষের হিউম্যান ব্রেইন এক সেকেন্ডে এক লাখের বেশি কেমিক্যাল রিএকশন হয়ে থাকে। আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আজকে আপনাদের ইন্টারেস্টিং কিছু এসব তথ্য জানাবো যা আপনারা জানলে অবাক এবং হতবাক হয়ে যাবেন। fact about human body.

আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন হলিউড বা বলিউডের হরর মুভি সম্পর্কে তখন আপনার অনুভূতি এবং মেন্টালিটি চিন্তাভাবনা কিরকম হয়ে থাকে। যদি আপনি কোন সুইমিং পুলে গোসল দিতে যান সুইমিংপুলে গোসল দেয়ার পর পরই আপনি যখন বেরিয়ে আসবেন তখন একটা শীতলতা অনুভব করবেন নিজের মনের মধ্যে এবং শরীরের মধ্যেই। আপনার শরীরের প্রতিটি লোন দাঁড়িয়ে যাবে এবং আপনি অনুভব করতে পারবেন যে আসলে আমাকে ঠান্ডা আক্রমণ করেছে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই দুটি পৃথক সিচুয়েশন আমাদের মনে কেমন রেখাপাত করে এর সবকিছু আমাদের হয়ে থাকে আমাদের শরীরের অ্যাড্রো নিল হরমোন থাকার কারণে যা আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না। যখন প্রচুর পরিমাণে টেনশন এবং হতাশ হয় এবং আমরা নানান ধরনের পেরেশানিতে ভুগি নিজের শরীর অসুস্থ লাগে ঠিক তখনই এই হরমোনটি আমাদের শরীর থেকে নিঃসারিত হয়ে যায়। যখন এই হরমোন আমাদের অচেতন অবস্থা নিঃসরণ হতে থাকে তখন একে কমিয়ে গজি বামস  বলা হয়ে থাকে।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না বা এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় কোনরূপ সন্দেহ পোষণ ব্যতিরেকে মানব শরীরে অনেকটাই ইন্টেলিজেন্ট হয়ে থাকে। যদি হামরা হিউম্যান বডি কে সুপার কম্পিউটারের সঙ্গে আখ্যায়িত করি তবুও ভুল হবেনা। কারণ সস্তার দেয়া এই বিশেষ যন্ত্রটি এতই পরিমাণে ইন্টেলিজেন্ট যে বিজ্ঞানেরাও এর অভূতপূর্ব উন্নতি দেখে অবাক হয়ে গেছে। আমাদের শরীরে যদি কোন মতো ঠিকঠাক না চলে এবং কোন পার্টস বা কোন অংশের দুর্বলতা দেখা যায় সাথে সাথেই শরীরের সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সিগন্যাল দিয়ে দেয় আমাদের। যদি আমাদের শরীরের ভিতরে কোন ভয়ংকার রোগ বাসা বেধে থাকে তাহলে এই পথে কি আমরা সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাই তেমনি আপনি ও আপনারা অনেক লোকের আঙ্গুল যদি খেয়াল করে থাকেন সেই আঙ্গুলের নখে নানান ধরনের সাদা সাদা হয়ে থাকে যা আসলেই অবাক করার বিষয়। এই সাদা সাদা দাগ গুলো দেখে আপনি এবং ডাক্তার বুঝে ফেলতে পারে যে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের অভাব রয়েছে যা পূরণ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ক্যালসিয়াম আয়রণযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং সাথে চিকিৎসা নিতে হবে  ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

মানবদেহের শ্বাসযন্ত্র  যন্ত্র যদি দেহ থেকে আলাদা করে দেয়া হয় বা পানিতে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে আপনার একটি অবাক করার দৃশ্য লক্ষ্য করবেন বাড়িতে এসে যার সাথে সাথেই সেই জিনিসটি সাঁতরাতে থাকবে। আমরা যতই দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করি না কেন আমাদের শরীরের শ্বাস যন্ত্র প্রায় এক লিটারের মত বায়ো শরীর অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে বা মজুদ করে ধরে রাখতে পারে। এবং আপনি এটা অবগত আসছেন যে পানির ঘনত্বের তুলনায় অন্য কোন কিছুর ঘনত্ব যদি কম হয়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই অবশ্যই পানির উপরে ভাসবে তা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন। আরে কারণে মূলত শ্বাসযন্ত্রটি পানির উপরেই সব সময় ভেসে থাকে।

শ্বাস যন্ত্রুটি নিয়ে আরো বিভিন্ন বিভিন্ন মজার এবং ইন্টারেস্টিং ঘটনা রয়েছে যেগুলো আপনারা জানলে অবাক এবং ফিদা হয়ে যাবেন। বায়োনালিকা থাকে সেটা গাছের মতোই ঘন এবং গাদাগাদি করে থাকে। আমরা জানি সকল মানুষ এবং জীবজন্তু ভেসে থাকার জন্য খাবার সংগ্রহ করে থাকে। একজন মানুষের যদি হিস্ট্রি কল্পনা করা যায় তাহলে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এভারেস্ট মোট কি পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকে তা জানলে আপনি আটকে উঠবেন এর উত্তরে যদি আমরা বলে থাকি তাহলে সেই জীবিত ও মৃত ব্যক্তিটি ত্রিশ হাজার কেজি খাদ্য খেয়ে থাকে।আর আমাদের মাথার চুলের হিসেবে যদি আমরা খেয়াল করে থাকি তাহলে আমাদের মাথার চুলে প্রতিদিন প্রায় 0.03 মিটার বৃদ্ধি পায় যা অবাক করার বিষয়। আপনারা খেয়াল করে থাকবেন মানুষ শরীরে প্রায় সকল হেয়ার ফলিক্যাল সমায়ের পেটে থাকা অবস্থায় তাদের জন্ম ও বৃদ্ধি হয়ে থাকে।

আপনারা খেয়াল করে থাকবেন যদি কোন ক্যান্সার ঢুকে থাকে তাহলে অবশ্যই তার চুল পড়ে যাবে এটাই হলো সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা এবং ডাক্তাররা তাই বলে। ক্যান্সার রোগীকে কোমিয়থেরাপি দেয়ার কারণেই দ্রুত বর্ধমান শীল বৃদ্ধি পেতে বাঁধাগ্রস্থ হয়ে যায় এবার অঙ্গের বাড়ন্ত কমে যায় বা নিঃশেষ হয়ে যায়। এর কারণে প্রতিটা ক্যান্সার রোগীর মাথার চুল ঝরে যায় বা তারা নিজেই মাথার চুল ছেটে ফেলে। প্রতিটি মানুষ তার খাবার স্বাদ উপভোগ করে তার জিহ্বা থাকার কারণে একটি খাবার ভালো কিনা মন্দ সেটা জার্জ করে সেই ব্যক্তির জিহবা যদি আমরা অনেক সময় খাদ্যে ঝাল অনুভব করে থাকি বা অনেক সময় টক বা ঝাল অনুভব করে থাকি বা মিষ্টি অনুভব করে থাকি তাহলে আমাদের যেহেতু আমাদেরকে জানান দিবে যে এই খাদ্যটি আপনার ঝাল টক বা মিষ্টি হয়েছে। অনেক সময়ের পরিমাণ বেশি হয়ে গেল যেহ্বা আমাদের মস্তিষ্কে এই তথ্যটি প্রেরণ করে যে আর বেশি খাওয়া যাবেনা বা এই জিনিসটা বেশি হয়ে গেছে। জব্বার কোন নির্দিষ্ট অঙ্গ দিয়ে আপনি কখনো ঝাল টক মিষ্টি অনুভব করতে পারবেন না জিহ্বার সম্পূর্ণ অংশ দিয়ে আপনি এই অনুভূতিটা পেতে পারেন। গড় যদি হিসাব করা যায় তাহলে পুরুষের হলো 3.3 ইঞ্চি এবং মহিলাদের জিহ্বার পরিমাণ হলো ৩.১ ইঞ্চি।

এ বিশ্লেষণটি শুধু সাধারণ পুরুষ এবং মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে তাছাড়া অন্য সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এটা আপনাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে। যদি মানব শরীরের অস্তিত্ব হিসেব করা যায় তাহলে আমাদের পুরো শরীরের মধ্যে ৭৩ শতাংশ পানি রয়েছে। এবং বাকি সব অন্য কিছু রয়েছে। এবং ৭৩% পানি সরিল থেকে আমাদের প্রবাহিত হয়ে থাকে। পানির অপর নাম জীবন পানি ছাড়া কোন প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না তাই পানির গুরুত্ব অপরিসীম ও অনস্বীকার্য চাইলেও আমরা এর গ্রুপ থেকে অস্বীকার এবং বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারি না। আপনার শরীরের পানির ওজন আপনার শরীরের এক শতাংশ সমান হয়ে থাকে ঠিক তখনই আপনার পিপাসা বেড়ে যায় বা আপনার পিপাসা পায়। যখন এই অফারটি দশ শতাংশের মধ্যে চলে যায় ভাই ১০ শতাংশ কে অতিক্রম করে ঠিক তখনই আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এটা সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা আমার মুখের কথা নয়।

শেষকথা,ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করতে যাচ্ছি যদি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট শেয়ার ও আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকবেন সবসময় আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *