সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাতর কারণ জেনে নিন

সাতক্ষীরা কি জন্য বিখ্যাত? জেনে নিন এই জেলার আদ্যপ্রান্ত

আর্টিকেলটি শুরু করার আগে মুসলিম ভাইদের জন্য আমার রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন ও সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ এবং অন্যান্য ধর্মী ভাই-বোনদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমত ও মেহেরবানীতে আপনার সকলে ভালো এবং সুস্থ আছেন। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সেই মালিকের দরবারে যে মালিকের অনুগ্রহ না পেলে আমি অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যেত এবং যেই মালিকের রহমতে আপনাদের সকলের ভালোবাসায় আমি সুস্থ এবং ভালো আছি।

আজকের বিষয়ে আমরা যে প্রবন্ধটি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি তাহলে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহ ও এই জেলার অর্যপ্রান্ত সম্পর্কে আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং আমাদের আর্টিকেলটি তারা আপনারা অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন আমরা আপনাদের জন্য খুবই বাসায় কৃত তথ্য ও সংযোজন করেছি যেগুলো মেয়েটি শেয়ার করে আপনি যেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আপনি মানুষের ভালোবাসা এবং ভাবা পেতে পারে তাই চলুন আর দেরি নয় আজকের আর্টিকেলটি দ্বারা আপনাদের সাতক্ষীরা জেলার দশমীর স্থান সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো-

সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান এবং আয়তন :

 

সাতক্ষীরা জেলার উত্তরে যশোর জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে খুলনা জেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। অবস্থানগত দিক দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে। উচ্চতার দিক বিবেচনা করলে এ অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬ ফুট উচুঁতে। জেলার সীমানা যেভাবে নির্ধারিত হয়েছে তাতে উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। তবে এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সব অংশে জনবসতি নেই। এর মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মধ্যে যে পরিমাণ ভূমি তার পরিমাণ ১৪৪৫.১৮ বর্গ কিলোমিটার।

সাতক্ষীরা জেলার নামকরণ :

 

প্রাচীনকালে এই জেলাকে বাগড়ী, ব্যাঘ্রতট, সমতট, যশোর, বুড়ন প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হতো। অবশ্য এ জেলার নামকরণের পেছনে অনেক মত প্রচলিত আছে। প্রথম ও প্রধান মতটি হলো চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এক কর্মচারী বিষুরাম চক্রবর্তী নিলামে বুড়ন পরগনা ক্রয় করে তার অর্ন্তগত সাতঘরিয়া নামক গ্রামে বাড়ি তৈরী করেন। তার পূত্র প্রাণনাথ সাতঘরিয়া অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেন। ১৮৬১ সালে মহকুমা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর ইংরেজ শাসকরা তাদের পরিচিত সাতঘরিয়াতেই প্রধান কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ইতোমধ্যেই সাতঘরিয়া ইংরেজ রাজকর্মচারীদের মুখে ‘সাতক্ষীরা’ হয়ে যায়। দ্বিতীয় মতটি হলো একদা সাত মনীষী সাগর ভ্রমণে এসে একান্ত শখের বসে (মতানৈক্যে রান্নার উপকরণাদি না পেয়ে) ক্ষীর রান্না করে খেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ‘ক্ষীর’ এর সাথে ‘আ’ প্রত্যেয় যুক্ত হয়ে ‘ক্ষীরা’ হয় এবং লোকমুখে প্রচলিত হয়ে যায় সাতক্ষীরা।

সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহ :আজকে আমাদের এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন রকমের দর্শনীয় স্থান সম্বন্ধে আপনাদেরকে একটা তথ্য দিব এবং যে তথ্যগুলো আপনারা কাজে লাগিয়ে আপনার সাতক্ষীরা জেলা  সম্বন্ধে সমস্ত প্রকার ভুল ভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে। তাহলে আর দেরি না করে পাশে থাকুন আমাদের এবং নিচে দেখতে থাকুন সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন দশমিক স্থানসমূহ –

১. সুন্দরবন

২. মায়ী চম্পার দরগা

৩. তেতুলিয়া জামে মসজিদ

৪. যীশুর গীর্জা

৫. মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত

৬. মায়ের মন্দির

৭. বনবিবির বটগাছ

৮. মাল্টা শরীফ

৯. নলতা রওজা শরীফ মাজার

১০. গুনাকরকাটি মাজার

১১. শ্যাম সুন্দর মন্দির

আমরা যদি সাতক্ষীরা জেলার উচ্চতা সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে এই জেলা হল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমান ১৬ ফুট উচ্চতা বেশি। সাগরের মোহনার কোলঘেষা এই জেলা অবস্থিত। জেলার মোট আয়তন অনুযায়ী এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল নিয়ে গঠিত এই জেলা।

সাতক্ষীরা জেলা মূলত সাতটি উপজেলা নিয়ে গঠিত

নিম্নে সাতটি উপজেলা দেয়া হলো –

১. সাতক্ষীরা সদর

২. শ্যামনগর

৩. তালা

৪. কালীগঞ্জ

৫. আশাশুনি

৬. দেবহাটা

৭. কলারোয়া

সাতক্ষীরা জেলা মূলত দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত একটি হলো সদর এবং অপরটি হল কলারোয়া পৌরসভা  নিয়ে গঠিত। সাতক্ষীরা জেলায় মূলত ৮টি টানা নিয়ে গঠিত। এবং 78 টি ইউনিয়ন পরিষদ ১৪২৩টি গ্রাম এবং চারটি আসন নিয়ে এই উপজেলা গঠিত। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর বিখ্যাত মনোগ্রাভ বনভূমি সুন্দরবন নিয়ে গঠিত। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এবং ভারতীয় সীমানার কুল ঘেষা জনপথটির মানুষ বসলে স্থান হিসেবে পরিগণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানটি মূলত বন জঙ্গলের ঘেরা ছিল পরে ধীরে ধীরে মানব বসতি স্থাপন হতে শুরু করে।

সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা :

 

যশোর শিক্ষাবোর্ডের নিয়ন্ত্রণে সাতক্ষীরা এর শিক্ষা কার্যক্রম চলছে, সাতক্ষীরায় ১টি মেডিকেল কলেজ, ২টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪৪ টি কলেজ, ১৩৫টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮৫টি মাদ্রাসা রয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা মূলত শিক্ষার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এখানকার যাতায়াত উন্নতি এ কারণেই পিছে রয়েছে যে সড়ক পথে  যাত্রা মোটেও স্বস্তির নয়। তাই সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা খুব একটা অনুকূলে পরিবেশ নেই অবশ্য সাতক্ষীরা জেলার উন্নতি ঘটাতে হলে যাতায়াতকে নির্বিঘ্ন করতে হবে এবং শিক্ষার মনকে ত্বরান্বিত করতে হলে অবশ্যই সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়ন প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন:মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেটির জন্য সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত রয়েছে আমরা আপনাদের সামনে সাতক্ষীরা জেলার মুক্তিযোদ্ধার বিভিন্ন ধরনের উপকরণ সামগ্রী ও সিটি চিহ্নগুলো পেশ করব

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর ২ঃ দেবহাটা, শ্যামনগর উপজেলার কলারোয়া

বাজার

 

বধ্যভূমি ৬ঃ সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, সাতক্ষীরা সরকারি স্কুলের পেছনে দীনেশ কর্মকারের বাড়ি ও সংলগ্ন পুকুর, বিনেরপোতা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, বাঁকাল ও গাঙ্গনী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, মাহমুদপুর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা (সাতক্ষীরা সদর), হরিনগর ও কাতখালী (শ্যামনগর);

স্মৃতিস্তম্ভ ৫ঃ বালিয়াডাঙ্গা ও কলারোয়া (কলারোয়া), গোপালপুর ও হরিনগর (শ্যামনগর), সাতক্ষীরা সদর;

স্মৃতিফলক ১ঃ মুরারীকাঠী (কলারোয়া);

স্মরণি ৩ঃ ঝাউডাঙ্গা শহীদ সিরাজ স্মরণি (সাতক্ষীরা সদর), শহীদ কাজল স্মরণি, শহীদ নাজমুল স্মরণি (দেবহাটা)। সাতক্ষীরা জেলায় বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে যেগুলো শুনলে আপনি বা দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার বিচারে সাতক্ষীরার স্থান যথেষ্ট প্রসিদ্ধ প্রধান স্থাপনা সমূহ :

 

প্রবাজপুর শাহী মসজিদ

তেতুলিয়া জামে মসজিদ

ইশ্বরীপুর হাম্মামখানা

জাহাজ ঘাটা হাম্মামখানা ও তৎসংলগ্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ

ঝুঁড়িঝাড়া ঢিবি

দরবার স্তম্ভ

গোবিন্দ দেবের মন্দির ঢিবি

যীশুর র্গীজা (শ্যামনগর)

যশোরেশ্বরী মন্দির

শ্যাম সুন্দর মন্দির

কোঠাবাড়ির থান

ছয়ঘরিয়া জোড়াশিব মন্দির

অন্নপূর্ণা মন্দির

দ্বাদশ শিব মন্দির

জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

নবরত্ন ডেমরাইল, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন কালিগঞ্জ উপজেলা।

সাতক্ষীরা জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো যেকোনো ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে আকৃষ্ট করবে এবং সে ভ্রমণের নেশায় সাতক্ষীরা জেলার এইসব নিদর্শন দেখে অবশ্যই মুগ্ধ হয়ে যাবে।

শেষ কথা, উপরিক্ত আলোচনা দ্বারা আমরা আপনাদের সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন শিক্ষা ব্যবস্থা সাতক্ষীরা জেলার নামকরণ এবং এর গুরুত্ব সম্বন্ধে সম্মুখ আলোচনা চেষ্টা চালিয়েছি যার দ্বারা আপনি এবং আপনারা আশা করি আপনার সাধ্যমত যথেষ্ট পরিমাণে তথ্যগুলো আনন্দিত হয়েছেন। যদি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করে এবং ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *