আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা মূলত বাংলাদেশর ভিতরে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ টুরিস্ট জোন যা পৃথিবীর অনন্য।আসলে আমরা অনেকে হয়তোবা এই বিখ্যাত জায়গার নাম সম্পর্কে একদম ওয়াকিবহাল নয়।তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত তার স্বীয় মাতৃভূমি সম্পর্কে কিছু বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক জায়গা সম্পর্কে ধারণা থাকা সবাইরে উচিত। ডে রকম বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু জায়গার মধ্যে সেন্টমার্টিন হলো ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটা অন্য রকম জায়গা হলো সেন্টমার্টিন বা নারিকেল জিঞ্জিরা।তো আসনু আর কথা না বাড়িয়ে সে্নটমার্টিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নেয়া যাক।
সেন্টমার্টিনর অবস্থান
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার এবং মিয়ানমারের সীমানা হতে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। এখানে খুব বেশি নারিকেলের চাষ হয় বলে মানুষ এর নাম নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকে। এর অবস্থান হলো বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি
প্রস্থ—-০.৫ কিমি। (০.৩১ মাইল) দৈঘ্য—৬ কিমি (৩.৭ মাইল) জনসংখ্যা আনুমানিক প্রায়–৭৩০০ জন।
কবে প্রথম এই দ্বীপটি আবিস্কৃত হয়েছে তা সম্পর্কে সঠিক নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য এখন অব্দি পাওয়া যায়নি। তবে আরবের কিছু ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এর নাম রাখেন নারিকেল জিঞ্জিরা যা পরিবর্তিতে সেন্টমার্টিন নামকরণে রুপান্তরিত হয় বা প্রকাশ পায়।এটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বনিকদের জন্য বিশ্রামাগারের জায়গার জন্য ব্যবহার হয়।১৯০০ খিস্ট্রাব্দের দিকে বিট্রিশ সরকার এটা ভারতীয় উপমহাদেশের আওতাধীন করে নেয়।পরে এক খ্রিষ্টান ধর্মগুরুর নামানুসারে এর নাম সেন্টমার্টিন রাখা হয়। এদ্বীপের একটি বৈশিষ্ট্য হলো জোয়ারের সমায় পানিতে তলিয়ে থাকে এবং ভাটার সময় পানি শূন্য হয়ে পরে।এদ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রকারের প্রবাল এবং ১৮৭ প্রজাতির শামুক ঝিনুক পাওয়া যায়।৪ প্রজাতির উভচর প্রাণী ও ১২০ প্রজাতির পাখিও পাওয়া যায়।এ দ্বীপে তেমন বেশি গাছ গাছালি নেই তবে কেওরা,কেয়া শ্যাওরা, সাগরলতা,বাইন,নারিকেল কিছু সংখ্যক গাছের সমাহার চোখে লক্ষ্যনীয়।
এখানার মানুষের জীবিকা নির্বাহর প্রধান চালিকা শক্তি হলো মাছ ধরা এবং তা বিক্রি করা। ইদানিং কালে মায়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জীবনাচারণ দেখতে পাওয়া যায়।
পর্যটন: দ্বীপটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেশে -বিদেশে নানাভাবে পরিচিত হয়ে উঠে।নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত হলো পর্যটন মৌসুম।এখানে রাত্রি যাপনের জন্য বেশকিছু আবাসিক ও রেস্তোরাঁও রয়েছে।