আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু এবং নানান ধরনের ভাইদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা আশা করি সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি আখিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে আশা করি আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনি দেশ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জানতে পারবেন যে তথ্য কি কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার দেশের জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা রাখতে পারবেন। আশা করি কেউ আমাদের পোস্টে এড়িয়ে যাবেন না আমাদের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে আমাদের পাশে থাকুন। বাংলা ইতিহাসে একটি অঘটন ঘটে যায় ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে মানুষকে কেন্দ্র করে পুরো বাংলাদেশ একটি শোক দিবস পালিত হয়ে থাকে আন্তর্জাতিকভাবে এসব দিবসকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সরকারী দিনটা বিশেষ করে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং শোকের মাস হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে। তাই এই দিনটাকে ঘিরে পুরো দেশে একটি শোক দিবসের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মানুষ ধর্ম নির্বিশেষে এই দিনটাকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে থাকে এবং মর্যাদা শহীদ পালন করে থাকে। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর উপর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এর উদ্দেশ্যে দেশের সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় পতাকা অর্ধ নামিত করে রাখে এবং সম্মানের সহিত এই দিনে তাদের ডিষ্টি পালন করে থাকি।
সারাদিন নানান আয়োজন এর মধ্যে রয়েছে বন্ধু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা সভা এবং ছোটদের ছবি আঁকা এবং বিকেলবেলা নির্বাহী অফিসার কর্মকর্তা সহ ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা সহ অগণিতিক কার্যক্রম এই দিনটাতে পালন করা হয়। এই দিবসকে কেন্দ্র করে সারাদিন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এবং সংস্কৃতি বিনোদনের মাধ্যমে এই আয়োজনে পরিষদের ঘটনা হয়। বাঙালির ইতিহাসে আজকের এই দিনটাকে নেককার জনক একটি দীন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে এবং তার পরিবারকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল ধানমন্ডির নিজ বাসায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পূর্ব যুগের বঙ্গবন্ধু তার আদর্শকে লালন করে দেশকে স্বাধীন করেছে কতিবায় বিরোধীরা ছিল যারা বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলার জন্য অনেক আগ থেকে ষড়যন্ত্র করে আসতেছে।কিন্তু তারা নানান কারণে পিছু ঘটেছে বারবার এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনতার পরে দেশ যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থায় দারিদ্রতা খোদা এবং নানান সমস্যা জর্জরিত ঠিক তখনই মোস্তাক সহ যাবতীয় অপরাধীরা ভোরবেলায় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে অতর্কিত হামলা শুরু করে দেয় তার পরিবারের উপর। যদিও বাংলাদেশ সরকার এই অপরাজিতা ধরতে ১৯৭৫ সালের পর থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেক অপরাধী কে সাজা দিয়েছে এবং অনেক অপরাধী এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং তারা দেশের বাইরে রয়েছে।
আমরা অনেকেই হয়তোবা জানিনা ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং জাতির পিতা বলে যারা আখ্যায়িত করে সেই বঙ্গবন্ধু কে সপরিবারে এই দিনে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ই দিবসকে সরকার জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এই মাসকে সুখের মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে। আজ আমরা আপনাদের সামনে উপস্থিত আছি জাতীয় শোক দিবস সম্বন্ধে ওকে স্ট্যাটাস মানি ক্যাপশন ও কবিতা সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার জন্য যাতে করে আপনারা এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সমন্ধে জানতে পারেন এবং বাংলাদেশের অতিথিরা সম্পর্কে একটি আপনাদের ধারণা হতে পারে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বাণী একটি স্ট্যাটাস ক্যাপশন ও কবিতা সম্পর্কে আলোচনা করি –
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে পোস্ট
১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ভোরবেলা রাত্রে হত্যা করা হয় নৃশংসভাবে তাই বাংলাদেশ সরকার এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এই মাঠটিতে জাতীয় শোকের মাস হিসেবে ঘোষণা করে আসছে ১৯৭৫ সালের পর থেকে তাই যারা জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে পোস্ট করতেছেন তারা দ্রুত আমাদের এখান থেকে তোর তো কালেকশন করে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন এবং জাতীয় শোক দিবস হিসেবে নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করতে পারেন তাই আমাদের পড়তে পড়তে সাথে থাকুন আমাদের –
~শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারালো একজন মহান নেতাকে, হারালাম একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে।
– ফিদেল কাস্ত্রো
~বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় বাংলাদেশ শুধু এতিমই হয়নি, বিশ্ব হারিয়েছে এক মহান সন্তানকে।
– জেমস ল্যামন্ড
জাতীয় শোক দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস
যারা জাতীয় শোক দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস উক্তি ফেসবুকে শেয়ার করতে চান তাদের জন্য আজকে আমরা বাসায় কি তোর কিছু সেরা স্ট্যাটাস নিয়ে হাজির হয়েছি যেগুলো আপনারা আপনাদের বন্ধু-বান্ধবদের সময় সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাই দেরি না করে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন এবং শোক দিবস সম্পর্কে স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহে রাখুন এবং যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই স্ট্যাটাস দিতে পারবেন –
~শেখ মুজিবের চরিত্র ছিল আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব এবং কোমল হৃদয়।
– ইয়াসির আরাফাত
~বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি ঐতিহাসিক দলিল।
– ইউনেস্কো
জাতীয় শোক দিবসের উক্তি
১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাঙ্গালীদের জন্য একটা কলঙ্কিত অধ্যায় যে অধ্যায়ের মাধ্যমে বাংলার সূর্য অস্তমিত গিয়েছিল। এবং বাংলার নবাব বলা হয় যাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যার ক্ষত বাঙালি মন থেকে এখনো মুছে যায়নি। তাই এই দিবসটিকে স্মরণ করে যারা জাতীয় শোক দিবসের উক্তি দেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতেছেন তারা চাইলে আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে অসাধারণ কিছু উক্তি সংগ্রহ করতে পারেন তাই আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন –
~মুজিব হত্যার পর বাঙালিকে আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।
– উইলিবান্ট
~বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় বাংলাদেশ শুধু এতিমই হয়নি, বিশ্ব হারিয়েছে এক মহান সন্তানকে।
– জেমস ল্যামন্ড
জাতীয় শোক দিবস নিয়ে ক্যাপশন
আজকে হল বাঙালির আত্মহতির দিন আজকে হলো বাঙালির কষ্টের দিন যেই বাঙালি ছিল দূরদমনীয় এবং যোদ্ধা প্রিয় জাতি। যে বাঙালি নিজের সত্তাকে হত্যা না করতে পাকিস্তান নামক দেশের সঙ্গে যুদ্ধের সংগঠিত হয়েছিল এবং তাদেরকে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধ করে 30 লক্ষ জীবনের বিনিময়ে এবং মা বোনের আত্মহুতি এবং ইজ্জতের মাধ্যমে প্রিয় এই মাতৃভূমি স্বাধীন করেছিল । সেই বাঙালিকে কে দমিয়ে রাখতে পারে সেই বাঙালি নিজের জান জীবন মাল উৎসর্গ করে এই জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং এই জাতিকে রক্ষা করার জন্য যে পথপ্রদর্শক ছিল তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই বাঙালির আত্মাকে যারা ১৯৭৫ সালে আগস্ট মাসে খুন করেছিল এবং জাতি দেখেছিল বীভৎস কাহিনী। আজকে আমরা সেই দিনকে শ্রদ্ধা বলে স্মরণ করে অসাধারণ কিছু ক্যাপশন আপনাদের সামনে নিয়ে হাজির হয়েছি –
~“যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা
যমুনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।”
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
~❝তোমার বাংলার মানুষ তোমাকে হারিয়ে এখনো খুঁজে ফিরে! তুমি ফিরে আসো
বারবারএই জনপদে ,জনমানে!
তুমি আছো তোমার বাংলার অস্তিত্বে চির অমলীন হয়ে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছবিও কবিতা
আমরা হলাম স্বাধীনতাকে আমি জনগণ স্বাধীনতার মাধ্যমে রক্তে রঞ্জিত আমাদের এই দেশকে রক্ষা করেছি। এবং এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছি। যতই দিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি শেখ মুজিবুর রহমান। তাই বাংলার ইতিহাসে যদিও প্রতিটা মানুষেরই অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই ইতিহাস রচিত হয়েছে। এখানে কারো মূল্য কম নয়, সবাই তার নিজের জীবন উৎসর্গ করে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এই দেশকে আগলে রেখেছে নাম না জানা অনেক মানুষ হয়েছে যারা এই দেশের মাটির গন্ধের দেশকে রক্ষা করতে প্রাণপণ যুদ্ধ করেছে কিন্তু তাদের কথা আমরা কখনো তুলে ধরি না। দেশের ইতিহাস বিকৃত করার জন্য একদল মানুষ রয়েছে তারা সবসময় চেষ্টা করতেছে কিন্তু বাঙালির ইতিহাস হল ঐতিহ্য এবং গৌরবের। আমরা সেইসব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতেছি যাদের নাম নেই গ্রাম নেই যাদের কথা কোন ইতিহাসের পাতায় নেই আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক এবং তাদের পরিবারবরতি ভালো রাখুক। তাই আজকে আপনারা আমার এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে অসাধারণ কিছু ছবি শোক দিবস সম্পর্কে সংগ্রহ করতে পারবেন –
“এই বাংলার আকাশ-বাতাস
সাগর-গিরি ও নদী
ডাকিছে তোমারে বঙ্গবন্ধু,
ফিরে আসতে যদি।”
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
❝তোমার বাংলার মানুষ তোমাকে হারিয়ে এখনো খুঁজে ফিরে! তুমি ফিরে আসো
বারবারএই জনপদে ,জনমানে!
তুমি আছো তোমার বাংলার অস্তিত্বে চির অমলীন হয়ে।”
“হে বীর, হে মহানায়ক
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,
তুমি মরতে পারো না “ তুমি যে বঙ্গবন্ধু”
তুমি ছিলে, তুমি থাকবে
আরো হাজার বছর বাঙালির
হৃদয়ের মনি কোঠায়।”
পরিশেষে, আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠা চালানোর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি বাঙালি ইতিহাসের সবচেয়ে নেক্কার জনগণ অধ্যায় ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে এ দেশের ইতিহাস কে কলঙ্কিত করেছিল এই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তাই আপনারা যারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি দ্বারা উপকৃত হয়েছেন তারা আমাদের প্রতিবেদন পেতে লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে সর্বদা পাশে থাকুন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।